০১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনকে ন্যাটোভুক্তির শর্তে প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে রাজি জেলেনস্কি

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০১:৪০:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

আলোকিত কন্ঠ ডেস্কঃ ইউক্রেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য পদ পেলে দেশটির প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে আগ্রহী ভলোদিমির জেলেনস্কি। গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেলেনস্কিকে একজন ‘স্বৈরশাসক’ আখ্যায়িত করার পর তাঁর এমন আগ্রহের কথা সামনে এল।

সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, ‘আপনারা যদি আমাকে এই চেয়ার থেকে সরে যেতে বলেন, তা করতে আমি প্রস্তুত রয়েছি। আর ন্যাটোয় ইউক্রেনের সদস্যপদের বিনিময়েও আমি তা করতে পারি।’ ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘(তাঁর ওই মন্তব্যের কারণে) আমি বিরক্ত হয়নি, তবে একজন স্বৈরাচারী শাসক বিরক্ত হতেন।’

২০১৯ সালে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হন ভলোদিমির জেলেনস্কি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনে সামরিক শাসন জারি করা হয়। বাতিল করা হয় নির্বাচন। জেলেনস্কি বলেন, বর্তমানে তিনি ইউক্রেনের নিরাপত্তার দিকে নজর দিচ্ছেন। এক দশক ধরে প্রেসিডেন্ট থাকা তাঁর ‘স্বপ্ন’ নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসার পর থেকেই ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে বিভিন্ন তৎপরতা শুরু করেছেন ট্রাম্প। সম্প্রতি সৌদি আরবে রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন তাঁর প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। তবে ওই আলোচনায় ইউক্রেনকে যুক্ত করা হয়নি। দেশটির প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে নিয়ে বিভিন্ন আক্রমণাত্মক কথা বলেছেন ট্রাম্প।

এমন পরিস্থিতিতে আজ সোমবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে যাওয়ার কথা রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের নেতাদের। সেখানে তাঁরা ইউক্রেনকে সমর্থন এবং দেশটির নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নিয়ে কথা বলবেন। জেলেনস্কি বলেছেন, ওই আলোচনায় ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়টি তোলা হবে। তবে এ আলোচনা কত দূর এগোবে, তা জানেন না তিনি।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, তিনি ট্রাম্পকে ইউক্রেনের একজন অংশীদার হিসেবে দেখতে চান। তিনি চান কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে একজন মধ্যস্থতাকারীর চেয়ে বড় ভূমিকা রাখুক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি আসলেই চাই, এটা মধ্যস্থতার চেয়ে বেশি কিছু হোক… এট যথেষ্ট নয়।’

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

মধুপুর পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা

ইউক্রেনকে ন্যাটোভুক্তির শর্তে প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে রাজি জেলেনস্কি

প্রকাশের সময়ঃ ০১:৪০:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আলোকিত কন্ঠ ডেস্কঃ ইউক্রেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য পদ পেলে দেশটির প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে আগ্রহী ভলোদিমির জেলেনস্কি। গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেলেনস্কিকে একজন ‘স্বৈরশাসক’ আখ্যায়িত করার পর তাঁর এমন আগ্রহের কথা সামনে এল।

সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, ‘আপনারা যদি আমাকে এই চেয়ার থেকে সরে যেতে বলেন, তা করতে আমি প্রস্তুত রয়েছি। আর ন্যাটোয় ইউক্রেনের সদস্যপদের বিনিময়েও আমি তা করতে পারি।’ ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘(তাঁর ওই মন্তব্যের কারণে) আমি বিরক্ত হয়নি, তবে একজন স্বৈরাচারী শাসক বিরক্ত হতেন।’

২০১৯ সালে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হন ভলোদিমির জেলেনস্কি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনে সামরিক শাসন জারি করা হয়। বাতিল করা হয় নির্বাচন। জেলেনস্কি বলেন, বর্তমানে তিনি ইউক্রেনের নিরাপত্তার দিকে নজর দিচ্ছেন। এক দশক ধরে প্রেসিডেন্ট থাকা তাঁর ‘স্বপ্ন’ নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসার পর থেকেই ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে বিভিন্ন তৎপরতা শুরু করেছেন ট্রাম্প। সম্প্রতি সৌদি আরবে রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন তাঁর প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। তবে ওই আলোচনায় ইউক্রেনকে যুক্ত করা হয়নি। দেশটির প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে নিয়ে বিভিন্ন আক্রমণাত্মক কথা বলেছেন ট্রাম্প।

এমন পরিস্থিতিতে আজ সোমবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে যাওয়ার কথা রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের নেতাদের। সেখানে তাঁরা ইউক্রেনকে সমর্থন এবং দেশটির নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নিয়ে কথা বলবেন। জেলেনস্কি বলেছেন, ওই আলোচনায় ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়টি তোলা হবে। তবে এ আলোচনা কত দূর এগোবে, তা জানেন না তিনি।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, তিনি ট্রাম্পকে ইউক্রেনের একজন অংশীদার হিসেবে দেখতে চান। তিনি চান কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে একজন মধ্যস্থতাকারীর চেয়ে বড় ভূমিকা রাখুক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি আসলেই চাই, এটা মধ্যস্থতার চেয়ে বেশি কিছু হোক… এট যথেষ্ট নয়।’