০৮:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সৌদি আরবে দেখা মিললো বিলুপ্ত সালসোলা গুল্ম

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ১১:৪৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

আলোকিত কন্ঠ ডেস্কঃ সালসোলা এক ধরনের গুল্ম যার বৈজ্ঞানিক নাম সালসোলা টেট্রান্ডা। ‘সালসোলা’ নামটি লাতিন সালসাস থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘নোনতা’ বা ‘লবণাক্ত’। আর ‘টেট্রান্ডা’ নামটি তৈরি হয়েছে দুটো গ্রিক শব্দের মিলনে।

ট্রিক ‘টেট্রা’ মানে ‘চার’ এবং ‘অ্যান্ড্রোস’ অর্থ ‘পরাগধানী’।

এই গুল্মে ফুলে চার পরাগধানী থাকে। এরা সাধারণত মরু অঞ্চলে জন্মে। এই গুল্ম শুধু প্রাণীর পুষ্টিসাধনই করে না; এটা মাটিকে শক্তভাবে আঁকড়ে থাকে।

এতে মাটির ক্ষয়ের পরিমাণ কমে।

গুল্মটি দুই দশক আগেই সৌদি আরব থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। হঠাৎই গুল্মটি আবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় দেখা যাচ্ছে।

এককালে সৌদি আরবের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের হামাদ অঞ্চলে ব্যাপক পরিমাণে এই গুল্ম দেখা যেত। পরিবেশবাদীরা অভিযোগ করেছেন, অতিরিক্ত আহরণের কারণে গাছটি মরু এলাকা থেকে হারিয়ে যায়।

এখন এই গুল্মটিকে পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় দেখা যাচ্ছে। বুনো পশু ও গৃহপালিত পশুর সমান জনপ্রিয় এই গুল্মটি। সৌদি কর্তৃপক্ষ এখন পশুচারণভূমি পুনরুদ্ধারে মনোযোগ দিয়েছে।

পাশাপাশি এসব তৃণভূমির তৃণ ও গুল্ম বাছ-বিচারহীন কায়দায় আহরণের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

সূত্র : আরব নিউজ

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

মধুপুর পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা

সৌদি আরবে দেখা মিললো বিলুপ্ত সালসোলা গুল্ম

প্রকাশের সময়ঃ ১১:৪৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

আলোকিত কন্ঠ ডেস্কঃ সালসোলা এক ধরনের গুল্ম যার বৈজ্ঞানিক নাম সালসোলা টেট্রান্ডা। ‘সালসোলা’ নামটি লাতিন সালসাস থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘নোনতা’ বা ‘লবণাক্ত’। আর ‘টেট্রান্ডা’ নামটি তৈরি হয়েছে দুটো গ্রিক শব্দের মিলনে।

ট্রিক ‘টেট্রা’ মানে ‘চার’ এবং ‘অ্যান্ড্রোস’ অর্থ ‘পরাগধানী’।

এই গুল্মে ফুলে চার পরাগধানী থাকে। এরা সাধারণত মরু অঞ্চলে জন্মে। এই গুল্ম শুধু প্রাণীর পুষ্টিসাধনই করে না; এটা মাটিকে শক্তভাবে আঁকড়ে থাকে।

এতে মাটির ক্ষয়ের পরিমাণ কমে।

গুল্মটি দুই দশক আগেই সৌদি আরব থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। হঠাৎই গুল্মটি আবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় দেখা যাচ্ছে।

এককালে সৌদি আরবের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের হামাদ অঞ্চলে ব্যাপক পরিমাণে এই গুল্ম দেখা যেত। পরিবেশবাদীরা অভিযোগ করেছেন, অতিরিক্ত আহরণের কারণে গাছটি মরু এলাকা থেকে হারিয়ে যায়।

এখন এই গুল্মটিকে পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় দেখা যাচ্ছে। বুনো পশু ও গৃহপালিত পশুর সমান জনপ্রিয় এই গুল্মটি। সৌদি কর্তৃপক্ষ এখন পশুচারণভূমি পুনরুদ্ধারে মনোযোগ দিয়েছে।

পাশাপাশি এসব তৃণভূমির তৃণ ও গুল্ম বাছ-বিচারহীন কায়দায় আহরণের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

সূত্র : আরব নিউজ