০৮:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুতিনের সাথে জান্তা সরকারের বৈঠকে পরমাণুকেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত 

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ১১:৩৫:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মায়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং রাশিয়া সফরে গিয়ে মঙ্গলবার রাতে ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বিদ্রোহী জোটের অগ্রগতি ঠেকাতে সামরিক জান্তা সরকারকে ছ’টি আধুনিক যুদ্ধবিমান দিয়েছেন ইতিমধ্যেই। এ বার ভারতের পড়শি দেশ মায়ানমারে পরমাণুকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন!

মায়ানমারের সামরিক জুন্তা সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং রাশিয়া সফরে গিয়ে মঙ্গলবার রাতে ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। পুতিনের জন্য উপহার হিসাবে ছ’টি হাতি নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি! জুন্টা সরকারের এই উদ্যোগকে ‘হাতি কূটনীতি’ বলে চিহ্নিত করেছে পশ্চিমি দুনিয়া। ওই বৈঠকে মায়ানমারে ছোট মাপের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য দু’তরফের প্রাথমিক চুক্তি হয়েছে।

ওই বৈঠকের পরে পুতিন বলেন, ‘‘এ বছর আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক মৈত্রীর ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরের ২৫তম বার্ষিকী উদ্‌যাপন করছি। দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে।’’ গত দেড় বছরের গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহী জোটের হাতে দেশের অর্ধেকের বেশি অংশ হারিয়েছে জুন্টা। কিন্তু জানুয়ারিতে বিদ্রোহী জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’-এর দ্বিতীয় বৃহত্তম সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ) চিনের মধ্যস্থতার শান্তিচুক্তি করায় হ্লাইং সরকার কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে।

এই আবহে পুতিনের ‘মৈত্রী’ ঘোষণা কোণঠাসা জুন্টার মনোবল বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কূটনীতি বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌজন্যে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন পুতিন। এই আবহে রুশ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বিনিয়োগের নিরাপদ ক্ষেত্র খুঁজতে শুরু করেছেন তিনি। সেই উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পরমাণু বিদ্যুৎ কোম্পানি ‘রোসাটম’ জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে মায়ানমারে ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়বে তারা। পরবর্তী সময়ে উৎপাদন ক্ষমতা তিন গুণ বাড়ানোর সুযোগ থাকবে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

মধুপুর পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা

পুতিনের সাথে জান্তা সরকারের বৈঠকে পরমাণুকেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত 

প্রকাশের সময়ঃ ১১:৩৫:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মায়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং রাশিয়া সফরে গিয়ে মঙ্গলবার রাতে ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বিদ্রোহী জোটের অগ্রগতি ঠেকাতে সামরিক জান্তা সরকারকে ছ’টি আধুনিক যুদ্ধবিমান দিয়েছেন ইতিমধ্যেই। এ বার ভারতের পড়শি দেশ মায়ানমারে পরমাণুকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন!

মায়ানমারের সামরিক জুন্তা সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং রাশিয়া সফরে গিয়ে মঙ্গলবার রাতে ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। পুতিনের জন্য উপহার হিসাবে ছ’টি হাতি নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি! জুন্টা সরকারের এই উদ্যোগকে ‘হাতি কূটনীতি’ বলে চিহ্নিত করেছে পশ্চিমি দুনিয়া। ওই বৈঠকে মায়ানমারে ছোট মাপের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য দু’তরফের প্রাথমিক চুক্তি হয়েছে।

ওই বৈঠকের পরে পুতিন বলেন, ‘‘এ বছর আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক মৈত্রীর ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরের ২৫তম বার্ষিকী উদ্‌যাপন করছি। দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে।’’ গত দেড় বছরের গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহী জোটের হাতে দেশের অর্ধেকের বেশি অংশ হারিয়েছে জুন্টা। কিন্তু জানুয়ারিতে বিদ্রোহী জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’-এর দ্বিতীয় বৃহত্তম সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ) চিনের মধ্যস্থতার শান্তিচুক্তি করায় হ্লাইং সরকার কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে।

এই আবহে পুতিনের ‘মৈত্রী’ ঘোষণা কোণঠাসা জুন্টার মনোবল বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কূটনীতি বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌজন্যে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন পুতিন। এই আবহে রুশ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বিনিয়োগের নিরাপদ ক্ষেত্র খুঁজতে শুরু করেছেন তিনি। সেই উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পরমাণু বিদ্যুৎ কোম্পানি ‘রোসাটম’ জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে মায়ানমারে ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়বে তারা। পরবর্তী সময়ে উৎপাদন ক্ষমতা তিন গুণ বাড়ানোর সুযোগ থাকবে।