১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে মানববন্ধন

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৪:৫৬:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • ২৩২ বার পড়া হয়েছে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যাল, প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিতে কর্মরত অস্থায়ী কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন ৯০ জন অস্থায়ী কর্মচারী। তাদের চাকরি স্থায়ী না করা হলে আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে তারা লাগাতার কর্মবিরতিতে যাবেন বলেও ঘোষণা করেছেন।

মানববন্ধনে সুফিয়া কামাল হলে নিরাপত্তা প্রহরী মুনির হোসেন বলেন, চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য আমরা বিগতসময়ে বিভিন্নভাবে আন্দোলন করেছি। আমাদের কারো কারো চাকরি বয়স ১০ থেকে ১৫ বছর। এখন পর্যন্ত আমাদের কারো চাকরি স্থায়ী করা হয়নি। দুই-একবার আমাদেরকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে চাকরি স্থায়ী করবে। কিন্তু আমরা যারা নিপীড়িত, শোষিত তাদের কাউকে স্থায়ী করা হয়নি। আমাদের বেতন নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বৈষম্য করে থাকে। রোজার মধ্যে ইদের আগে আমাদের যে বেতন দেওয়া হয়েছে সেখানেও ৩০ দিনের বেতন না দিয়ে ২৪ দিনের বেতন দেওয়া হয়েছে। আমরা টাকা-পয়সা চাইনা, আমাদের চাকরি স্থায়ী করা হোক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের নিয়ে যে ছেলেখেলা খেলছেন এটা যাতে আর না হয় তার জন্য আহবান জানাচ্ছি।

যে বেতন তারা পান সেটা দিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন দাবি করে বঙ্গমাতা হলের মালি পদে কর্মরত সুদীর সরকার বলেন, গতকাল ছিল নববর্ষ কিন্তু আমরা এমন একটি ভাগ্য নিয়ে জন্মেছি আমাদের নববর্ষ বলে কিছু ছিলনা। কিছুদিন আগে যে ঈদ গেলো সেটাতেও আমাদের মা-বাবা, সন্তানদের মধ্যে আনন্দ ছিলনা কারণ আমাদের সেরকম অর্থ বা কোনোকিছু ছিলনা। ভাগ্যবিড়ম্বনা শিকার হয়ে ১৪ থেকে ১৫ বছর আমরা যে লাঞ্চনার শিকার হয়েছি তা থেকে মুক্তি চাই। বাংলাদেশ ২০২৪ সালে নতুন করে ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে, স্বাধীনতা এসেছে কিন্তু আমাদের কোনো স্বাধীনতা আসেনি। আমরা কোনো সুফলও পাইনি। দ্রব্যমূল্যসহ সবকিছু আমাদের নাগালের বাইরে। আমাদের ছেলেমেয়ে লেখাপড়া করবে সেটুকু সাধ্য আমাদের মধ্যে নাই। কারণ আমাদের আগে বাঁচতে হবে। যেখানে চিকিৎসার জন্য আমাদের মানুষের কাছে হাত পাততে হয় সেখানে ছেলেমেয়েদের কিভাবে লেখাপড়া করাবো।

চাকরি স্থায়ী না করা হলে কর্মবিরতির হুশিয়ারি দিয়ে সুফিয়া কামাল হলের নিরাপত্তা প্রহরী শামসুল আলম বলেন, আমাদের একটাই দাবি চাকরি স্থায়ী করতে হবে৷ এই দাবিতে আমরা মানববন্ধন, আমরণ অনশনসহ বিভিন্নভাবে আন্দোলন করেছি। কিছুদিন আগেও আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। যদি আমাদের চাকরি স্থায়ী না করা হয় তাহলে আমরা আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাব।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

সাভারে তিতাসের অভিযান, ৩টি ওয়াশিং ফ্যাক্টরির সংযোগ বিচ্ছিন্ন

দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশের সময়ঃ ০৪:৫৬:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যাল, প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিতে কর্মরত অস্থায়ী কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন ৯০ জন অস্থায়ী কর্মচারী। তাদের চাকরি স্থায়ী না করা হলে আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে তারা লাগাতার কর্মবিরতিতে যাবেন বলেও ঘোষণা করেছেন।

মানববন্ধনে সুফিয়া কামাল হলে নিরাপত্তা প্রহরী মুনির হোসেন বলেন, চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য আমরা বিগতসময়ে বিভিন্নভাবে আন্দোলন করেছি। আমাদের কারো কারো চাকরি বয়স ১০ থেকে ১৫ বছর। এখন পর্যন্ত আমাদের কারো চাকরি স্থায়ী করা হয়নি। দুই-একবার আমাদেরকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে চাকরি স্থায়ী করবে। কিন্তু আমরা যারা নিপীড়িত, শোষিত তাদের কাউকে স্থায়ী করা হয়নি। আমাদের বেতন নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বৈষম্য করে থাকে। রোজার মধ্যে ইদের আগে আমাদের যে বেতন দেওয়া হয়েছে সেখানেও ৩০ দিনের বেতন না দিয়ে ২৪ দিনের বেতন দেওয়া হয়েছে। আমরা টাকা-পয়সা চাইনা, আমাদের চাকরি স্থায়ী করা হোক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের নিয়ে যে ছেলেখেলা খেলছেন এটা যাতে আর না হয় তার জন্য আহবান জানাচ্ছি।

যে বেতন তারা পান সেটা দিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন দাবি করে বঙ্গমাতা হলের মালি পদে কর্মরত সুদীর সরকার বলেন, গতকাল ছিল নববর্ষ কিন্তু আমরা এমন একটি ভাগ্য নিয়ে জন্মেছি আমাদের নববর্ষ বলে কিছু ছিলনা। কিছুদিন আগে যে ঈদ গেলো সেটাতেও আমাদের মা-বাবা, সন্তানদের মধ্যে আনন্দ ছিলনা কারণ আমাদের সেরকম অর্থ বা কোনোকিছু ছিলনা। ভাগ্যবিড়ম্বনা শিকার হয়ে ১৪ থেকে ১৫ বছর আমরা যে লাঞ্চনার শিকার হয়েছি তা থেকে মুক্তি চাই। বাংলাদেশ ২০২৪ সালে নতুন করে ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে, স্বাধীনতা এসেছে কিন্তু আমাদের কোনো স্বাধীনতা আসেনি। আমরা কোনো সুফলও পাইনি। দ্রব্যমূল্যসহ সবকিছু আমাদের নাগালের বাইরে। আমাদের ছেলেমেয়ে লেখাপড়া করবে সেটুকু সাধ্য আমাদের মধ্যে নাই। কারণ আমাদের আগে বাঁচতে হবে। যেখানে চিকিৎসার জন্য আমাদের মানুষের কাছে হাত পাততে হয় সেখানে ছেলেমেয়েদের কিভাবে লেখাপড়া করাবো।

চাকরি স্থায়ী না করা হলে কর্মবিরতির হুশিয়ারি দিয়ে সুফিয়া কামাল হলের নিরাপত্তা প্রহরী শামসুল আলম বলেন, আমাদের একটাই দাবি চাকরি স্থায়ী করতে হবে৷ এই দাবিতে আমরা মানববন্ধন, আমরণ অনশনসহ বিভিন্নভাবে আন্দোলন করেছি। কিছুদিন আগেও আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। যদি আমাদের চাকরি স্থায়ী না করা হয় তাহলে আমরা আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাব।