১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নতুন ক্যাম্পাস ও আবাসন বিষয়ে আবারো আশ্বাস প্রশাসনের, শিক্ষার্থীরা হতাশ

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৪:৩৯:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • ২১৫ বার পড়া হয়েছে

 

জবি প্রতিনিধি, মোঃ রাসেল খান: আজ ১৬ এপ্রিল ২০২৫, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম এর সাথে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। দীর্ঘদিনের দাবি থাকা সত্ত্বেও এখনও সেগুলোর বাস্তবায়ন না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম হতাশা ও ক্ষোভ। বৈঠকে যেসব বিষয় উঠে আসে, তা নিচে তুলে ধরা হলো:

১. দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও অস্থায়ী হল নির্মাণ:
দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও অস্থায়ী হল নির্মাণে আপাতত কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের আরডিপি (Revised Development Project Proposal) আগামী সপ্তাহ কিংবা তার পরের সপ্তাহে অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে। অনুমোদন পেলে সেনাবাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যৌথ বৈঠকের মাধ্যমে কাজ শুরুর ঘোষণা দেওয়া হবে।

২. আবাসন ভাতা:
আবাসন ভাতা বিষয়টি পূর্ববর্তী রিভাইসড বাজেটে প্রস্তাব আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে এখনো চূড়ান্ত অনুমোদন আসেনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটেও বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং প্রক্রিয়া চলমান।

৩. জকসু নির্বাচন:
জকসু নির্বাচনের জন্য প্রণীত খসড়া নিয়মাবলীর বাংলা অনুবাদ এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। খসড়াটি প্রস্তুত হওয়ার পর তা শিক্ষা মন্ত্রণালয় অথবা ইউজিসির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। তারপর বিশ্ববিদ্যালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

৪. সমাবর্তন আয়োজন:
পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে সমাবর্তন নিয়ে আলোচনা হবে। সম্ভাব্য সময় হিসেবে চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সালের জানুয়ারি ধরা হয়েছে।

৫. আহত শিক্ষার্থীদের ফি মওকুফ:
আহত শিক্ষার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাই করে ফি মওকুফের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

তবে এসব আশ্বাস নতুন নয়। বছরের পর বছর ধরে শিক্ষার্থীরা একই ধরনের প্রতিশ্রুতি শুনে অভ্যস্ত। বাস্তবায়নের দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেকে বিষয়টিকে “প্রশাসনের আশ্বাসের নাটক” বলেই উল্লেখ করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরইমধ্যে হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। ছাত্রদের একাংশ বলছেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন নিয়ে প্রতিবারই আলোচনার চেয়ে আশ্বাসই বেশি শোনা যায়, কিন্তু বাস্তবে কিছুই চোখে পড়ে না।”

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

সাভারে তিতাসের অভিযান, ৩টি ওয়াশিং ফ্যাক্টরির সংযোগ বিচ্ছিন্ন

নতুন ক্যাম্পাস ও আবাসন বিষয়ে আবারো আশ্বাস প্রশাসনের, শিক্ষার্থীরা হতাশ

প্রকাশের সময়ঃ ০৪:৩৯:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

 

জবি প্রতিনিধি, মোঃ রাসেল খান: আজ ১৬ এপ্রিল ২০২৫, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম এর সাথে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। দীর্ঘদিনের দাবি থাকা সত্ত্বেও এখনও সেগুলোর বাস্তবায়ন না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম হতাশা ও ক্ষোভ। বৈঠকে যেসব বিষয় উঠে আসে, তা নিচে তুলে ধরা হলো:

১. দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও অস্থায়ী হল নির্মাণ:
দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও অস্থায়ী হল নির্মাণে আপাতত কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের আরডিপি (Revised Development Project Proposal) আগামী সপ্তাহ কিংবা তার পরের সপ্তাহে অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে। অনুমোদন পেলে সেনাবাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যৌথ বৈঠকের মাধ্যমে কাজ শুরুর ঘোষণা দেওয়া হবে।

২. আবাসন ভাতা:
আবাসন ভাতা বিষয়টি পূর্ববর্তী রিভাইসড বাজেটে প্রস্তাব আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে এখনো চূড়ান্ত অনুমোদন আসেনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটেও বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং প্রক্রিয়া চলমান।

৩. জকসু নির্বাচন:
জকসু নির্বাচনের জন্য প্রণীত খসড়া নিয়মাবলীর বাংলা অনুবাদ এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। খসড়াটি প্রস্তুত হওয়ার পর তা শিক্ষা মন্ত্রণালয় অথবা ইউজিসির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। তারপর বিশ্ববিদ্যালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

৪. সমাবর্তন আয়োজন:
পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে সমাবর্তন নিয়ে আলোচনা হবে। সম্ভাব্য সময় হিসেবে চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সালের জানুয়ারি ধরা হয়েছে।

৫. আহত শিক্ষার্থীদের ফি মওকুফ:
আহত শিক্ষার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাই করে ফি মওকুফের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

তবে এসব আশ্বাস নতুন নয়। বছরের পর বছর ধরে শিক্ষার্থীরা একই ধরনের প্রতিশ্রুতি শুনে অভ্যস্ত। বাস্তবায়নের দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেকে বিষয়টিকে “প্রশাসনের আশ্বাসের নাটক” বলেই উল্লেখ করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরইমধ্যে হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। ছাত্রদের একাংশ বলছেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন নিয়ে প্রতিবারই আলোচনার চেয়ে আশ্বাসই বেশি শোনা যায়, কিন্তু বাস্তবে কিছুই চোখে পড়ে না।”