০২:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালিগঞ্জে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি

সাতক্ষীরাঃ আগামী ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি। মাসব্যাপী এ কর্মসূচিতে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় মোট ৭১ হাজার শিশুকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৭ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৩৭ হাজার শিশুর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে, যা মোট লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৫১ শতাংশ। একডোজের এই টাইফয়েড কনজুগেট টিকা গ্রহণে উৎসাহিত করার জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল কবীর জানান, ‘‘টাইফয়েড একটি সংক্রামক রোগ যা দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে ছড়ায়। সময়মতো টিকা নিলে শিশুদের এই রোগ থেকে দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব। মানুষের মধ্যে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে কিছুটা ভীতি কাজ করছে, যার কারণে প্রত্যাশিত সংখ্যায় রেজিস্ট্রেশন হয়নি। তবে টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং এটি শিশুদের টাইফয়েডের মারাত্মক ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা দেবে।”

তিনি আরও বলেন, “অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সন্তানদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করুন। এতে করে টাইফয়েড প্রতিরোধে একটি শক্তিশালী সুরক্ষা বলয় তৈরি হবে।”

টাইফয়েড এর টিকা গ্রহণের উপকারিতা বর্ণনা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল বলেন, এই টিকা ৩ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা প্রদান করতে পারে।

মোট ১৮ কার্যদিবস ধরে এই কার্যক্রম চলবে। উপজেলার সব স্কুল ও মাদ্রাসায় ক্যাম্প করে টিকা দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি ইপিআই (সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি) কেন্দ্রগুলোতে টিকা দেওয়া হবে। টাইফয়েড জ্বরের উচ্চ প্রাদুর্ভাব রোধ এবং শিশুমৃত্যু হ্রাস করার লক্ষ্যে সরকার প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, টিকাদান কর্মসূচির আওতায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে ২৫ হাজার ১২ ছেলে ও ২৪ হাজার ৩২০ মেয়ে শিশু এবং কমিউনিটি পর্যায়ে ১০ হাজার ৯১০ ছেলে ও ১০ হাজার ৪৬৩ মেয়ে শিশু। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা আশা করছেন, প্রচারণা জোরদার করা হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাঙ্খিত সংখ্যক শিশুর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

শ্রীবরদীতে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ ও জরিমানা আদায়

কালিগঞ্জে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি

প্রকাশের সময়ঃ ১১:৪৯:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

সাতক্ষীরাঃ আগামী ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি। মাসব্যাপী এ কর্মসূচিতে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় মোট ৭১ হাজার শিশুকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৭ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৩৭ হাজার শিশুর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে, যা মোট লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৫১ শতাংশ। একডোজের এই টাইফয়েড কনজুগেট টিকা গ্রহণে উৎসাহিত করার জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল কবীর জানান, ‘‘টাইফয়েড একটি সংক্রামক রোগ যা দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে ছড়ায়। সময়মতো টিকা নিলে শিশুদের এই রোগ থেকে দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব। মানুষের মধ্যে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে কিছুটা ভীতি কাজ করছে, যার কারণে প্রত্যাশিত সংখ্যায় রেজিস্ট্রেশন হয়নি। তবে টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং এটি শিশুদের টাইফয়েডের মারাত্মক ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা দেবে।”

তিনি আরও বলেন, “অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সন্তানদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করুন। এতে করে টাইফয়েড প্রতিরোধে একটি শক্তিশালী সুরক্ষা বলয় তৈরি হবে।”

টাইফয়েড এর টিকা গ্রহণের উপকারিতা বর্ণনা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল বলেন, এই টিকা ৩ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা প্রদান করতে পারে।

মোট ১৮ কার্যদিবস ধরে এই কার্যক্রম চলবে। উপজেলার সব স্কুল ও মাদ্রাসায় ক্যাম্প করে টিকা দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি ইপিআই (সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি) কেন্দ্রগুলোতে টিকা দেওয়া হবে। টাইফয়েড জ্বরের উচ্চ প্রাদুর্ভাব রোধ এবং শিশুমৃত্যু হ্রাস করার লক্ষ্যে সরকার প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, টিকাদান কর্মসূচির আওতায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে ২৫ হাজার ১২ ছেলে ও ২৪ হাজার ৩২০ মেয়ে শিশু এবং কমিউনিটি পর্যায়ে ১০ হাজার ৯১০ ছেলে ও ১০ হাজার ৪৬৩ মেয়ে শিশু। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা আশা করছেন, প্রচারণা জোরদার করা হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাঙ্খিত সংখ্যক শিশুর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবে।