
যশোরঃ যশোরের শার্শায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মোছাঃ আঞ্জয়ারা খাতুন (শিমুল) নামে এক নারীকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখমের অভিযোগ উঠেছে তারই আপন ভাই সেই কথিত মানবাধিকার পরিচয় দানকারী আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে।
গতকাল সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে শার্শা থানাধীন বাগআঁচড়া ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ড সাত’মাইল গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় ঐ দিন সন্ধ্যায় ভিকটিম আঞ্জয়ারা বাদী হয়ে আসাদ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে শার্শা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আঞ্জয়ারা খাতুন শিমুল ও আসাদুজ্জামান আসাদ আপন ভাই বোন। আনুমানিক গত দুই বছর আগে ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য আসাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা দেয় আঞ্জয়ারা। কিন্তু বিদেশে নিয়ে যেতে না পারায় উক্ত টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে বোন আঞ্জয়াকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে আসাদ ও তার স্ত্রী। পরে ভিকটিম আঞ্জয়ারা শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। চিকিৎসক ভিকটিম আঞ্জয়ারার মাথায় ৮/৯ টি সেলাই দিয়েছে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, আসাদুজ্জামান আসাদ আগে বিদেশে থাকতো, হঠাৎ এক বছর সে একটি মানবাধিকার সংস্থার একটি কার্ড বাগিয়ে নিয়ে রাতারাতি বড় মাপের মানবাধিকার কর্মি বনে যায়। আবার কখনো কখনো সমাজের বিভিন্ন জায়গায় ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে নিজেকে সাংবাদিক হিসাবে পরিচয় দেয় আসাদ। এর আগেও মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি, ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে আসাদের নামে। ঐ সময় আবু ছিদ্দিক নামে একজন আম ব্যবসায়ী বাদী হয়ে আসাদের বিরুদ্ধে শার্শা থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়। এ সংক্রান্তে একাধিক প্রিন্ট এবং অনলাইন পত্রিকায় প্রতারক আসাদের ছবি সংযুক্ত খবর প্রকাশিত হয়।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আলীম জানান, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পয়েছি’ তদন্ত চলছে, তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।