০৯:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকাদানে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৬:৫৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • ১২৩ বার পড়া হয়েছে

 

মিজানুর রহমান মিলন, শেরপুর প্রতিনিধি: জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিভাগ দেশব্যাপী ১০-১৪ বছর বয়সী তরুণীদের বিনামুল্যে এইচপিভি (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস) টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। কিন্তু অসচেতনতা ও ভ্রান্ত ধারণার কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলের তরুনীরা এইচপিভি টিকা গ্রহণে পিছিয়ে রয়েছে। এমন অবস্থায় স্বাস্থ্যবিভাগের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এইচপিভি টিকা বিষয়ে সচেতনতা ও উদ্ধুদ্ধকরণ কার্যক্রম শুরু করেছে নাগরিক প্ল্যাটফরম জনউদ্যোগ শেরপুর। এরই অংশ হিসেবে ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে ‘এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার রুখে দিন’-এমন শ্লোগানে সদর উপজেলার বলায়েরচর ইউনিয়নের চরশ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে এক সচেতনতা ও উদ্ধুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সার্বিকভাবে সহযোগিতায় রয়েছে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়, ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রণমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি) ও সেবা পরিষদ (এসপি)।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল হোসেন-এর সভাপতিত্বে এ উদ্ধুদ্ধকরণ সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মোবারক হোসেন। সাংবাদিক হাকিম বাবুল-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. জহিরুুল আলম, জনউদ্যোগ সংগঠক শিক্ষক এস.এম. আবু হান্নান, সেবা পরিষদ নির্বাহী পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. মো. মোবারক হোসেন বলেন, বাংলাদেশে নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী অথবা ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের জন্য এই টিকা অধিকতর কার্যকর। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকার একটি ডোজই যথেষ্ট। এইচপিভি টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর । যে কারণে এই টিকা গ্রহণে কোন ঝুঁকির কারণ নেই, কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, কোন ভয় নেই। বং এই টিকা জরায়ুমুখ ক্যান্সার থেকে নারীদের সুরক্ষা দেয়। যা নারীদের সাব্সথ্য সুরক্ষ ও প্রজণন ক্ষমতা রক্ষায় সহায়তা করে। এজন্য উপযুক্ত বয়সী সবাইকে তিনি এইচপিভি টিকা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে আগামী ২৮ নবেম্বর পর্যন্ত এই টিকাদান ক্যাম্পেইন চলবে বলেও তিনি জানান। পরে ওই বিদ্যালয়ের আগে টিকা গ্রহণ না করা শিক্ষার্থীরা এদিন ভয়কে জয় করে এইচপিভি টিকা গ্রহণ করেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

শতরূপা ফাউন্ডেশনের মানবিক উদ্যোগে গরু উপহার পেলেন মানিকগঞ্জের দিনমজুর

শেরপুরে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকাদানে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশের সময়ঃ ০৬:৫৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

 

মিজানুর রহমান মিলন, শেরপুর প্রতিনিধি: জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিভাগ দেশব্যাপী ১০-১৪ বছর বয়সী তরুণীদের বিনামুল্যে এইচপিভি (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস) টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। কিন্তু অসচেতনতা ও ভ্রান্ত ধারণার কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলের তরুনীরা এইচপিভি টিকা গ্রহণে পিছিয়ে রয়েছে। এমন অবস্থায় স্বাস্থ্যবিভাগের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এইচপিভি টিকা বিষয়ে সচেতনতা ও উদ্ধুদ্ধকরণ কার্যক্রম শুরু করেছে নাগরিক প্ল্যাটফরম জনউদ্যোগ শেরপুর। এরই অংশ হিসেবে ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে ‘এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার রুখে দিন’-এমন শ্লোগানে সদর উপজেলার বলায়েরচর ইউনিয়নের চরশ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে এক সচেতনতা ও উদ্ধুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সার্বিকভাবে সহযোগিতায় রয়েছে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়, ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রণমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি) ও সেবা পরিষদ (এসপি)।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল হোসেন-এর সভাপতিত্বে এ উদ্ধুদ্ধকরণ সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মোবারক হোসেন। সাংবাদিক হাকিম বাবুল-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. জহিরুুল আলম, জনউদ্যোগ সংগঠক শিক্ষক এস.এম. আবু হান্নান, সেবা পরিষদ নির্বাহী পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. মো. মোবারক হোসেন বলেন, বাংলাদেশে নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী অথবা ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের জন্য এই টিকা অধিকতর কার্যকর। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকার একটি ডোজই যথেষ্ট। এইচপিভি টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর । যে কারণে এই টিকা গ্রহণে কোন ঝুঁকির কারণ নেই, কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, কোন ভয় নেই। বং এই টিকা জরায়ুমুখ ক্যান্সার থেকে নারীদের সুরক্ষা দেয়। যা নারীদের সাব্সথ্য সুরক্ষ ও প্রজণন ক্ষমতা রক্ষায় সহায়তা করে। এজন্য উপযুক্ত বয়সী সবাইকে তিনি এইচপিভি টিকা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে আগামী ২৮ নবেম্বর পর্যন্ত এই টিকাদান ক্যাম্পেইন চলবে বলেও তিনি জানান। পরে ওই বিদ্যালয়ের আগে টিকা গ্রহণ না করা শিক্ষার্থীরা এদিন ভয়কে জয় করে এইচপিভি টিকা গ্রহণ করেন।