
ঢাকাঃ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে কোনো কিছুই অর্জন করতে পারেনি। মঙ্গলবার ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর এটি ছিল তার প্রথম প্রকাশ্য বক্তব্য।
খামেনি বলেন, এসব হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ কোনো ক্ষতি করতে পারেনি। তিনি কাতারে অবস্থিত একটি মার্কিন ঘাঁটিতে পাল্টা হামলাকে গুরুতর আঘাত হিসেবে উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে, ওয়াশিংটন জোর দিয়ে বলছে, এসব হামলা ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে দুর্বল করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, এই অভিযান ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করেছে এবং তা বছরের পর বছর পিছিয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবারের ভিডিওবার্তায় খামেনি যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলোর বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে আরও হামলার হুমকি দেন এবং ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিজয়ের দাবি করেন।
তিনি বলেন, ট্রাম্প পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার প্রভাব অতিরঞ্জিত করেছেন।
খামেনির ভাষায়, তারা কিছুই করতে পারেনি এবং নিজেদের লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার প্রসঙ্গে খামেনি বলেন, এ ধরনের হামলা ভবিষ্যতেও পুনরাবৃত্তি হতে পারে এবং যদি আবার হামলা হয়, তাহলে শত্রু ও আগ্রাসনকারীদের আরও বেশি মূল্য চোকাতে হবে।
সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, হোয়াইট হাউজ এখন ইরানকে আবারও আলোচনায় ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন কৌশল বিবেচনা করছে। তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ইরানি রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো আলোচনার পরিকল্পনা নেই।
ইরান বরাবরই দাবি করে এসেছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং তারা কখনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায়নি।