১০:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ ২৩ দেশের বিবৃতি

ঢাকাঃ দুই ডজনেরও বেশি দেশ গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে, গাজায় দুর্ভোগ নতুন মাত্রার অমানবিকতায় পৌঁছেছে। খবর আলজাজিরার।

এ ধরনের বিবৃতি ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা আরও ত্বরাণ্বিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। কারণ, মিত্রদের তীব্র ভাষায় প্রতিবাদের সর্বশেষ পরিস্থিতি বলছে, গাজায় চলমান অমানবিক যুদ্ধের রেশ ইউরোপে ইসরায়েলের মিত্রদের কাছেও পৌঁছে যাচ্ছে।

সোমবার (২১ জুলাই) এই বিবৃতিটি এসেছে। ২১ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে গাজার দুই মিলিয়নেরও বেশি বাসিন্দা বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আর এ পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে ইসরায়েলের সৃষ্টি।

ইসরায়েলি মিত্র যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আরও ২১টি দেশ যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, যুদ্ধ এখনই শেষ হওয়া উচিত।

স্বাক্ষরকারীরা আরও বলেন, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ নতুন গভীরতায় পৌঁছেছে। আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি, ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে বন্দীদের মুক্তি এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সাহায্যের অবাধ প্রবাহের আহ্বান জানিয়েছে দেশগুলো।

শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের অমানবিক হত্যার নিন্দা জানিয়েছে দেশগুলো বলেছে, গাজার মানুষগুলো পানি ও খাদ্যের ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা মেটাতে চেয়ে হত্যার শিকার হচ্ছে। বিবৃতিতে ত্রাণগ্রহণকালে গাজাবাসীর ওপর ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদ জানানো হয়।

জাতিসংঘ এবং গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মে মাসের শেষের দিক থেকে খাদ্য সংগ্রহের চেষ্টা করতে গিয়ে গাজায় ৮৭৫ জন নিহত হওয়ার রেকর্ড করেছে। তবে সংখ্যাটা আরও বেশি। কারণ, অনেক নিহতকে হাসপাতাল পর্যন্ত আনা সম্ভব হয় না। এ ছাড়া অনেকের মরদেহ উদ্ধারও করা সম্ভব হয়নি। সেসব ধ্বংসস্তূপে পঁচে-গলে নিঃশেষ হচ্ছে।

দেশগুলো বলেছে, ইসরায়েলি সরকারের সাহায্য বিতরণ মডেল বিপজ্জনক। এটি অস্থিতিশীলতাকে ইন্ধন জোগায় এবং গাজাবাসীদের মানবিক মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করে। ইসরায়েলি সরকারের বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা প্রদানের অস্বীকৃতি গ্রহণযোগ্য নয়। আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলকে তার বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে।

লন্ডন থেকে আলজাজিরার সোনিয়া গ্যালেগো বলেন, গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধের বিষয়ে ইসরায়েলের মিত্রদের কাছ থেকে এই বিবৃতিটি উল্লেখযোগ্যভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি এ বিবৃতিকে ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্তর্জাতিক কূটনীতির বড় সফলতা হিসেবে বর্ণনা করেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

ইসলামে রক্তদানের পুরস্কার ও গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা

গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ ২৩ দেশের বিবৃতি

প্রকাশের সময়ঃ ১০:৫৩:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

ঢাকাঃ দুই ডজনেরও বেশি দেশ গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে, গাজায় দুর্ভোগ নতুন মাত্রার অমানবিকতায় পৌঁছেছে। খবর আলজাজিরার।

এ ধরনের বিবৃতি ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা আরও ত্বরাণ্বিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। কারণ, মিত্রদের তীব্র ভাষায় প্রতিবাদের সর্বশেষ পরিস্থিতি বলছে, গাজায় চলমান অমানবিক যুদ্ধের রেশ ইউরোপে ইসরায়েলের মিত্রদের কাছেও পৌঁছে যাচ্ছে।

সোমবার (২১ জুলাই) এই বিবৃতিটি এসেছে। ২১ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে গাজার দুই মিলিয়নেরও বেশি বাসিন্দা বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আর এ পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে ইসরায়েলের সৃষ্টি।

ইসরায়েলি মিত্র যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আরও ২১টি দেশ যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, যুদ্ধ এখনই শেষ হওয়া উচিত।

স্বাক্ষরকারীরা আরও বলেন, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ নতুন গভীরতায় পৌঁছেছে। আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি, ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে বন্দীদের মুক্তি এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সাহায্যের অবাধ প্রবাহের আহ্বান জানিয়েছে দেশগুলো।

শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের অমানবিক হত্যার নিন্দা জানিয়েছে দেশগুলো বলেছে, গাজার মানুষগুলো পানি ও খাদ্যের ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা মেটাতে চেয়ে হত্যার শিকার হচ্ছে। বিবৃতিতে ত্রাণগ্রহণকালে গাজাবাসীর ওপর ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদ জানানো হয়।

জাতিসংঘ এবং গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মে মাসের শেষের দিক থেকে খাদ্য সংগ্রহের চেষ্টা করতে গিয়ে গাজায় ৮৭৫ জন নিহত হওয়ার রেকর্ড করেছে। তবে সংখ্যাটা আরও বেশি। কারণ, অনেক নিহতকে হাসপাতাল পর্যন্ত আনা সম্ভব হয় না। এ ছাড়া অনেকের মরদেহ উদ্ধারও করা সম্ভব হয়নি। সেসব ধ্বংসস্তূপে পঁচে-গলে নিঃশেষ হচ্ছে।

দেশগুলো বলেছে, ইসরায়েলি সরকারের সাহায্য বিতরণ মডেল বিপজ্জনক। এটি অস্থিতিশীলতাকে ইন্ধন জোগায় এবং গাজাবাসীদের মানবিক মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করে। ইসরায়েলি সরকারের বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা প্রদানের অস্বীকৃতি গ্রহণযোগ্য নয়। আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলকে তার বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে।

লন্ডন থেকে আলজাজিরার সোনিয়া গ্যালেগো বলেন, গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধের বিষয়ে ইসরায়েলের মিত্রদের কাছ থেকে এই বিবৃতিটি উল্লেখযোগ্যভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি এ বিবৃতিকে ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্তর্জাতিক কূটনীতির বড় সফলতা হিসেবে বর্ণনা করেন।