
সাভারঃ আশুলিয়ায় একটি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক বিএনপি নেতা। প্রকাশিত ওই সংবাদ ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা দাবী করে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে আশুলুয়ার বাড়ইপাড়া এলাকায় তার নিজ বাস ভবনে সংবাদ সম্মেন করেন শিমুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপি যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো: রুবেল শেখ।
রুবেল শেখ লিখিত বক্তব্যে জানান, “বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে হামলা-মামলা, জেল-ঝুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। কিন্তু কখনো হাল ছাড়েননি। বিএনপির রাজনীতির সাথে রয়েছি। অত্যান্ত নিষ্ঠার সাথে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেছি। মূল দল করার আগে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। কিন্তু কখনো অন্যায়ের সাথে আপোস করিনি।”
তিনি জানান, “সম্প্রতি আশুলিয়ার বাড়ইপাড়ায় আমার বোনের বাড়ির জমির উপর দিয়ে প্রতিবেশি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ নামের এক ব্যক্তি জোড়পূর্বক সোয়ারেজের পাইপ লাইন নিতে যায়। পরে আমার বোন তাদের জমির উপর দিয়ে লাইন নিতে বাঁধা দেন। এসময় মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান আওয়ামী লীগ নেতা লুতফর সিকদার ও সজিব সিকদারের নির্দেশে এখান দিয়েই তিনি সোয়ারেজের লাইন নিচ্ছেন। পরে আমার বোন বিষয়টি আমাকে অবহিত করেন। পরে ঘটনাস্থলে আমি নিজে উপস্থিত হয়ে সেখান দিয়ে লাইন না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করি। পরে তিনি আর সেখানে কাজ করেনি।”
“কিন্ত ঘটনার ১৫/১৬ দিন পরে আমার বোনের ওই প্রতিবেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে আমি ৫০ হাজার টাকা চাঁদার জন্য কাজ বন্ধ করে দিয়েছি বলে অভিযোগ করেন। এরপর বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আমার কছে ফোন করে বিষয়টি জানতে চান। আমি সত্য ঘটনা যা সেটা তাদেরকে জানাই। পরে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে সত্যতা যাচাইয়ে সরেজমিনে এসে তদন্ত করেন। কিন্তু আমি চাঁদা চেয়েছি এরকম কোন প্রমাণ চারা পাননি। মূলত এ ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এবং সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে আমার মান-সম্মান ক্ষুন্ন করতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লোকজনের সাথে আতাত করে আমার বিরুদ্ধে ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেছে। যার কারণে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন।
এদিকে, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ফুফাতো ভাই ও বাড়ির কেয়ারটেকার সোহেল ও তার স্ত্রী জানান, এখানে কেউ কোন চাঁদা চাননি। শুধু কাজ করতে নিষেধ করেছন। রুবেল শেখ তার বোনের বাড়িতে এসে সকলের সামনেই সোয়ারেজ লাইনের কাজ বন্ধ রাখতে বলেছেন। কিন্তু চাঁদা চাওয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি।
সংবাদ সম্মেলনে শিমুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ফজলে রাব্বি গালিব, সাধারন সম্পাদক মো: মোবারক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান খান মিন্টু, সদস্য প্রফেসর আমজাদ হোসেন বুলবুল সহ বিএনপি ও এর অংগসংঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও এলাকার বয়োজেষ্ট্য মোগর আলী, রকমত আলী এবং আশুলিয়ায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মী এসময় উপস্থিত ছিলেন।