০৫:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরকীয়ার জালে সর্বস্বান্ত স্বামী, গর্ভের সন্তান হত্যার অভিযোগ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ ১০:৪৩:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ১২০ বার পড়া হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক পরকীয়ার বলি হলো গর্ভজাত সন্তান, হাতছাড়া হলো ব্যবসার মূলধন এবং স্বর্ণালঙ্কার। স্বামী সাজ্জাদ হোসেনের (২৫) অভিযোগ, তার স্ত্রী শোভা আক্তার (২০) পরিকল্পিতভাবে চার লাখ টাকা ও তিন লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার আত্মসাৎ করে তাকে তালাক দিয়েছেন।

অভিযুক্ত শোভা আক্তার জামালপুর সদর উপজেলার রঘুনাথপুর দিঘুলী (বরভিটা) গ্রামের মো. মোস্তফার মেয়ে। ভুক্তভোগী সাজ্জাদ হোসেন একই উপজেলার তিতপল্লা গ্রামের মো. সাইদুলের ছেলে। তারা ঢাকার আশুলিয়ায় বসবাস করে অটো পার্টসের ব্যবসা করতেন।

সাজ্জাদ হোসেন জানান, প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। সংসার জীবনের শুরুটা ভালোই চলছিল। ব্যবসার চার লাখ টাকা তিনি শ্বশুরের কাছে গচ্ছিত রাখেন। এছাড়া স্ত্রীকে প্রায় তিন লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার উপহার দেন।

এরপর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হলে নানা অজুহাতে শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে বাবার বাড়ি নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলা হয় বলে অভিযোগ করেন সাজ্জাদ। এরপর গচ্ছিত টাকা চাইতে গেলে শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে তালবাহানা শুরু হয়। হঠাৎ করেই স্ত্রী তাকে তালাক দেন।

পরে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করলে তদন্তভার জামালপুর সদর থানাকে দেওয়া হয়। পুলিশ তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তরা অর্থ আত্মসাৎকারী, শিশু হত্যাকারী ও প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত।

সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমার সন্তানকে তারা হত্যা করেছে, ব্যবসার টাকা আত্মসাৎ করে আমাকে তালাক দিয়েছে। পুঁজি হারিয়ে আজ আমি সর্বস্বান্ত। আমি এর ন্যায়বিচার চাই।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

মধুপুরে শিক্ষা সহায়ক উপকরণ ও নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

পরকীয়ার জালে সর্বস্বান্ত স্বামী, গর্ভের সন্তান হত্যার অভিযোগ

প্রকাশের সময়ঃ ১০:৪৩:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

 

নিজস্ব প্রতিবেদক পরকীয়ার বলি হলো গর্ভজাত সন্তান, হাতছাড়া হলো ব্যবসার মূলধন এবং স্বর্ণালঙ্কার। স্বামী সাজ্জাদ হোসেনের (২৫) অভিযোগ, তার স্ত্রী শোভা আক্তার (২০) পরিকল্পিতভাবে চার লাখ টাকা ও তিন লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার আত্মসাৎ করে তাকে তালাক দিয়েছেন।

অভিযুক্ত শোভা আক্তার জামালপুর সদর উপজেলার রঘুনাথপুর দিঘুলী (বরভিটা) গ্রামের মো. মোস্তফার মেয়ে। ভুক্তভোগী সাজ্জাদ হোসেন একই উপজেলার তিতপল্লা গ্রামের মো. সাইদুলের ছেলে। তারা ঢাকার আশুলিয়ায় বসবাস করে অটো পার্টসের ব্যবসা করতেন।

সাজ্জাদ হোসেন জানান, প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। সংসার জীবনের শুরুটা ভালোই চলছিল। ব্যবসার চার লাখ টাকা তিনি শ্বশুরের কাছে গচ্ছিত রাখেন। এছাড়া স্ত্রীকে প্রায় তিন লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার উপহার দেন।

এরপর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হলে নানা অজুহাতে শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে বাবার বাড়ি নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলা হয় বলে অভিযোগ করেন সাজ্জাদ। এরপর গচ্ছিত টাকা চাইতে গেলে শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে তালবাহানা শুরু হয়। হঠাৎ করেই স্ত্রী তাকে তালাক দেন।

পরে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করলে তদন্তভার জামালপুর সদর থানাকে দেওয়া হয়। পুলিশ তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তরা অর্থ আত্মসাৎকারী, শিশু হত্যাকারী ও প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত।

সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমার সন্তানকে তারা হত্যা করেছে, ব্যবসার টাকা আত্মসাৎ করে আমাকে তালাক দিয়েছে। পুঁজি হারিয়ে আজ আমি সর্বস্বান্ত। আমি এর ন্যায়বিচার চাই।