০১:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে আ:লীগ নেতা চন্দন পালের জামিনের প্রতিবাদে ডিসি গেইট অবরোধ করে ছাত্রজনতার বিক্ষোভ

  • শেরপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময়ঃ ১১:০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

 

শেরপুরঃ শেরপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট চন্দন কুমার পালের জামিন ইস্যুতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যরা অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন।

অংশগ্রহণকারীরা জেলা জজ, পিপি ও জিপির অপসারণসহ আট দফা দাবি জানিয়ে বলেন, চন্দন পালের জামিন ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং এতে আন্দোলনের নিহত ও আহত পরিবারের প্রতি চরম অবিচার হয়েছে।

সকাল ৯টা থেকে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা জজ আদালতের মূল ফটকের সামনে একত্রিত হয়ে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে ডিসি গেইট অবরোধ করে ‘ন্যায়বিচার চাই’, ‘দোষীদের বিচার চাই’ স্লোগান দিতে থাকেন।

বেলা ১২টার দিকে জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করে দাবি-দাওয়া শুনেন। তিনি লিখিত আবেদন দিলে তা সরকারকে দ্রুত পাঠানোর আশ্বাস দেন। জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

এ সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় আদালতপাড়া, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ আশেপাশের অফিসের কার্যক্রম প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকে।

জানা গেছে, সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন কুমার পালের বিরুদ্ধে হত্যাসহ সাতটি মামলা হয়। পরে ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর ভারতে পালানোর চেষ্টাকালে বেনাপোল সীমান্তে তাকে আটক করে পুলিশ। তিনি প্রায় এক বছর কারাভোগের পর চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে সব মামলায় জামিন পান। তবে বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় ফের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। সর্বশেষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর শেরপুর আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর তিনি কারামুক্ত হন।

এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চন্দন পালের জামিনকে ঘিরে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। অনেকেই দাবি করেন, তিনি দেশে না থেকে ভারতে চলে গেছেন। ওই জামিনে জেলা জজ, পিপি ও বিএনপি-ঘনিষ্ঠ আইনজীবীদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠলে এ নিয়ে বিতর্ক তীব্র হয়।

এ ঘটনায় সম্প্রতি জেলা পিপি ও পৌর বিএনপি সভাপতি এডভোকেট আব্দুল মান্নান সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ তোলেন। তার পাল্টা হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে আজকের এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

শ্রীবরদীতে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ ও জরিমানা আদায়

শেরপুরে আ:লীগ নেতা চন্দন পালের জামিনের প্রতিবাদে ডিসি গেইট অবরোধ করে ছাত্রজনতার বিক্ষোভ

প্রকাশের সময়ঃ ১১:০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

 

শেরপুরঃ শেরপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট চন্দন কুমার পালের জামিন ইস্যুতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যরা অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন।

অংশগ্রহণকারীরা জেলা জজ, পিপি ও জিপির অপসারণসহ আট দফা দাবি জানিয়ে বলেন, চন্দন পালের জামিন ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং এতে আন্দোলনের নিহত ও আহত পরিবারের প্রতি চরম অবিচার হয়েছে।

সকাল ৯টা থেকে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা জজ আদালতের মূল ফটকের সামনে একত্রিত হয়ে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে ডিসি গেইট অবরোধ করে ‘ন্যায়বিচার চাই’, ‘দোষীদের বিচার চাই’ স্লোগান দিতে থাকেন।

বেলা ১২টার দিকে জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করে দাবি-দাওয়া শুনেন। তিনি লিখিত আবেদন দিলে তা সরকারকে দ্রুত পাঠানোর আশ্বাস দেন। জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

এ সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় আদালতপাড়া, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ আশেপাশের অফিসের কার্যক্রম প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকে।

জানা গেছে, সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন কুমার পালের বিরুদ্ধে হত্যাসহ সাতটি মামলা হয়। পরে ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর ভারতে পালানোর চেষ্টাকালে বেনাপোল সীমান্তে তাকে আটক করে পুলিশ। তিনি প্রায় এক বছর কারাভোগের পর চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে সব মামলায় জামিন পান। তবে বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় ফের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। সর্বশেষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর শেরপুর আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর তিনি কারামুক্ত হন।

এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চন্দন পালের জামিনকে ঘিরে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। অনেকেই দাবি করেন, তিনি দেশে না থেকে ভারতে চলে গেছেন। ওই জামিনে জেলা জজ, পিপি ও বিএনপি-ঘনিষ্ঠ আইনজীবীদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠলে এ নিয়ে বিতর্ক তীব্র হয়।

এ ঘটনায় সম্প্রতি জেলা পিপি ও পৌর বিএনপি সভাপতি এডভোকেট আব্দুল মান্নান সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ তোলেন। তার পাল্টা হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে আজকের এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন।