
মানিকগঞ্জঃ মানিকগঞ্জে আবাসিক একটি ভবন থেকে স্যামুয়েল হাসদা (৩২) নামে এক এনজিও কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে শহরের পোড়রা এলাকার প্রফেসর সুলতান উদ্দিনের বাসা থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত স্যামুয়েল হাসদা রাজশাহী এলাকার গোদাগাজী এলাকার সরকার হালদারের ছেলে।
জানা গেছে, স্যামুয়েল হাসদা বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডেজিনাস নলেজ (বারসিক) সহযোগী সমন্বয়ক হিসেবে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি ১০ বছর ধরে এই এনজিওতে কাজ করেন।
স্যামুয়েল হাসদার সহকর্মী ও বারসিকের প্রোগ্রাম অফিসার কমল দত্ত জানান, চলতি মাসের ১ তারিখে পূজার ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান স্যামুয়েল হাসদা। গতকাল (৬ অক্টোবর) রাতে ছুটি শেষে মানিকগঞ্জে এসে পৌঁছান তিনি। আজ সকালে তার কর্মস্থলে যোগদান করার কথা। কিন্ত বেলা গড়িয়ে দুপুর হলেও অফিসের সহকর্মীরা তাকে ফোনে না পেয়ে বাসা পর্যন্ত যান। দরজায় দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরেও কোন সারা শব্দ না পেয়ে বাড়িওয়ালার সহযোগিতায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে বিছানার উপর তার মরদেহ দেখতে পান।
নিহতের সহকর্মী নজরুল ইসলাম জানান, সামায়েল হাসদার ২০০৯ সালে রাজশাহীর গোদাগারী ছেড়ে জীবিকার সন্ধানে মানিকগঞ্জে আসেন। এসেই তিনি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বারসিকে চাকরি শুরু করেন। এখানে স্থানীয় খানবাহাদুর আওলাদ হোসেন খান কলেজ থেকে এইচ এসসি এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ থেকে অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
স্যামুয়েল হাসদার সহযোগী কর্মসূচি কর্মকর্তা হিসেবে ঘিওর অঞ্চলে কৃষি প্রতিবেশ সংরক্ষণে কাজ করতেন।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।