
মানিকগঞ্জঃ মানিকগঞ্জে এনসিপির জেলা প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট জাহিদুর রহমান তালুকদার বলেছেন, এনসিপি’র দ্রুত জনপ্রিয়তা ও বিস্তারে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। এনসিপির এই বর্ধন অনেকের কাছে ‘থ্রেট’ হিসেবে দেখা দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের কিছু নেতা দেশের বাইরে থাকলেও বাকিরা দেশে থেকেই রাজনীতি করছে। ষড়যন্ত্র আর কুচক্র করতে তো মাঠে নামতে হয় না, একবার মনের ভেতর ঢুকিয়ে দিলেই তা কাজ করে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে মানিকগঞ্জ শহরের এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে ‘জুলাই যোদ্ধা রাব্বির মিথ্যা অপপ্রচার ও ভিত্তিহীন সংবাদের প্রতিবাদে’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
অ্যাডভোকেট জাহিদুর রহমান তালুকদার বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা রাব্বি নিজেই মামলার বাদী হয়ে জড়িয়েছেন মামলা বাণিজ্যে। মামলা করার পর আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিভিন্ন আসামির পক্ষে সাফাই গেয়ে নিজের মামলার আসামিদের নাম বাদ দিচ্ছেন। আদালতের বাইরে ওই আসামিদের কাছ থেকে তিনি আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন জাহিদুর রহমান। এতে আদালতও তার আচরণে অসন্তুষ্ট হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, রাব্বির মামলার আসামি মানিকগঞ্জ পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র তসলিম হৃদয়, লাভলু, রেজাউল করিম চঞ্চল, মাসুদ, দ্বীন ইসলাম ও কামরুলসহ আরও অনেকের নাম তিনি ভুলবশত অন্তর্ভুক্ত করেছেন বলে এফিডেভিটে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু বাস্তবে টাকার বিনিময়েই এসব কাজ করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট এ.এইচ.এম. মাহফুজ, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মুজাহিদুর রহমান মুরাদ, গালিবুর রহমান গালিব, কাজী হারুনুর রশিদ পিন্টু, প্রফেসর নওয়াব আলী, অ্যাডভোকেট আব্দুল জলিল খান প্রমুখ।
অন্যদিকে, জুলাই যোদ্ধা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলার বাদী সাদিকুল ইসলাম রাব্বি গত বুধবার (৮ অক্টোবর) এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দার বরাবর এক লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, মামলার ৫৯ নম্বর আসামি ও মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট দেওয়ান মতিনের নাম বাদ না দেওয়ায় এনসিপির জেলা প্রধান সমন্বয়কারী জাহিদ তালুকদার ও যুগ্ম সমন্বয়কারী মাহফুজ তাকে হুমকি দিচ্ছেন। রাব্বির অভিযোগ, চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহ করলেও সেই অর্থ তার কাছে পৌঁছেনি। মামলার কারণে তিনি ভয়ভীতিতে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন বলেও জানান তিনি।