মানিকগঞ্জঃমানিকগঞ্জে একদিনে সদরসহ তিন উপজেলায়
অজ্ঞাত ব্যক্তিসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকালে পৃথক পৃথক স্থান থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এদের মধ্যে সকালে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে পুলিশ ধারণা করছে।

এছাড়া, সিঙ্গাইর উপজেলার দেওলি গ্রামে রোজিনা আক্তার (২৮) নামের এক নারী বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন। পারিবারিক কলহের জেরে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

অপরদিকে, ঘিওর উপজেলার দেওভোগ গ্রাম থেকে সোনা মিয়া (৪০) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। রবিবার রাতে বোনজাইয়ের বাড়িতে গিয়ে গলায় ফাঁস দেন সোনা মিয়া। সোমবার ভোরে ঘরের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জানাযায় গত বছর তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।

সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া এলাকায় ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস কারখানায় কাজ করার সময় ছাদ থেকে একটি ড্রাম পড়ে গুরুতর আহত হন রাসেল মাহমুদ (৩০) নামে এক শ্রমিক। রাতেই তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রাসেল জামালপুর সদর উপজেলার রুহুল্লী গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে।

মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ দুপুরে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার পশ্চিম দাশড়া মহল্লার পৌর ভূমি অফিসের পেছনের একটি বহুতল ভবনের তৃতীয় তলা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় আবু হানিফ (৩৫) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে। তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আবুল বসরের ছেলে।

নিহতের সাবেক স্ত্রী বৃষ্টি আক্তার জানান, আবু হানিফ বর্তমানে তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন। স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন। বিদেশে পাঠানোর কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তি ও পরিচিতদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফেরত না দেওয়ায় তিনি মানসিক চাপে ছিলেন। সম্প্রতি মানিকগঞ্জের এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। পাওনাদারদের সঙ্গে দেনদরবারের পর সোমবার বৃষ্টির বাসায় লেনদেনের কথা থাকলেও, পাওনাদাররা আসার খবর পেয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেন আবু হানিফ।

মানিকগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।