০৮:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে জাল টাকার ঘটনায় জড়িত পোস্ট অফিসের দুই কর্মচারি গ্রেপ্তার

 

শেরপুরঃ শেরপুরে জাল টাকার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শেরপুর প্রধান ডাকঘরের দুই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ। আরও কয়েকজন সন্দেহের তালিকায় আছেন বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পোস্ট অফিসের ক্যাশিয়ার মানিক মিয়া ও ট্রেজারার হাফিজুর রহমান। তাঁদেরকে রোববার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

সদর থানার পুলিশ গত বৃহস্পতিবার মানিককে ও গত শনিবার হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার হাফিজুর রহমান ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আর মানিক মিয়াকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আগামী ২৩ অক্টোবর রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য করেছেন। কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. জিয়াউর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ অক্টোবর শেরপুর সদর উপজেলার গনইমমিনাকান্দা গ্রামের ষাটোর্ধ্ব নিরক্ষর মহিলা শাহিনা বেগম উত্তরা ব্যাংকে ২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা জমা দিতে যান। উত্তরা ব্যাংকের ক্যাশিয়ার টাকা গুনে নেওয়ার সময় ওই টাকার মধ্যে ৫৩টি ১ হাজার টাকা মূল্যমানের জাল নোট দেখতে পান। গত ৯ অক্টোবর সোনালী ব্যাংক, শেরপুর শাখায় নূহু নামে এক ব্যক্তি সরকারি চালানের ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা জমা দিতে যান। সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার টাকা গুনে নেওয়ার সময় ২৫টি ১ হাজার টাকা মূল্যমানের জাল নোট ধরা পড়ে। ওই দুই গ্রাহকই শেরপুর পোস্ট অফিস থেকে টাকাগুলো উত্তোলন করে ছিলেন।

এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শাহিনা বেগম সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন, পোস্ট অফিসের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তৎপর হয়ে ওঠে। পরে সদর থানার পুলিশ জাল নোটের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে শেরপুর প্রধান ডাকঘরের দুই কর্মচারী মানিক মিয়া ও হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জোবায়েদুল আলম বলেন, জাল টাকার ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সাথে যারাই জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

মধুপুরে শিক্ষা সহায়ক উপকরণ ও নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

শেরপুরে জাল টাকার ঘটনায় জড়িত পোস্ট অফিসের দুই কর্মচারি গ্রেপ্তার

প্রকাশের সময়ঃ ০২:১১:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

 

শেরপুরঃ শেরপুরে জাল টাকার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শেরপুর প্রধান ডাকঘরের দুই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ। আরও কয়েকজন সন্দেহের তালিকায় আছেন বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পোস্ট অফিসের ক্যাশিয়ার মানিক মিয়া ও ট্রেজারার হাফিজুর রহমান। তাঁদেরকে রোববার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

সদর থানার পুলিশ গত বৃহস্পতিবার মানিককে ও গত শনিবার হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার হাফিজুর রহমান ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আর মানিক মিয়াকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আগামী ২৩ অক্টোবর রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য করেছেন। কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. জিয়াউর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ অক্টোবর শেরপুর সদর উপজেলার গনইমমিনাকান্দা গ্রামের ষাটোর্ধ্ব নিরক্ষর মহিলা শাহিনা বেগম উত্তরা ব্যাংকে ২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা জমা দিতে যান। উত্তরা ব্যাংকের ক্যাশিয়ার টাকা গুনে নেওয়ার সময় ওই টাকার মধ্যে ৫৩টি ১ হাজার টাকা মূল্যমানের জাল নোট দেখতে পান। গত ৯ অক্টোবর সোনালী ব্যাংক, শেরপুর শাখায় নূহু নামে এক ব্যক্তি সরকারি চালানের ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা জমা দিতে যান। সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার টাকা গুনে নেওয়ার সময় ২৫টি ১ হাজার টাকা মূল্যমানের জাল নোট ধরা পড়ে। ওই দুই গ্রাহকই শেরপুর পোস্ট অফিস থেকে টাকাগুলো উত্তোলন করে ছিলেন।

এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শাহিনা বেগম সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন, পোস্ট অফিসের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তৎপর হয়ে ওঠে। পরে সদর থানার পুলিশ জাল নোটের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে শেরপুর প্রধান ডাকঘরের দুই কর্মচারী মানিক মিয়া ও হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জোবায়েদুল আলম বলেন, জাল টাকার ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সাথে যারাই জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।