১১:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিএনএ পরীক্ষায় ধর্ষক শনাক্ত

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০১:৫৪:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় ধর্ষণের শিকার হয়ে পুত্র সন্তান জন্ম দেয় ১২ বছরের এক শিশু। কিন্তু ধর্ষণকারীর বিষয়ে তখন মুখ খোলেনি শিশুটি। পরে শিশুটির মা বাদী হয়ে এ ঘটনায় দুই জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। কিন্তু তদন্তে ওই আসামিদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলেনি। অবশেষে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে দেড় বছর পর ধর্ষকের পরিচয় শনাক্ত হলো। তার নাম নুর আলম (৩৬)। তিনি উপজেলার খাসেরচর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নুর আলমের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়। এরপরই অভিযান চালিয়ে এদিন রাতেই নুর আলমকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছেন তিনি।

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মিজানুর রহমান জানান, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। এরপর সে গর্ভবতী হলে ছয় মাস পর বিষয়টি টের পায় পরিবার। পরে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ওই গ্রামের দুই জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এরমধ্যে গত বছরের নভেম্বরের শুরুতে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেয় ওই কিশোরী।

তিনি আরও জানান, পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠান, আর আদালত তাদের কারাগারে পাঠান। আদালতের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই দুই অভিযুক্তসহ স্থানীয় আরও একজনের ডিএনএ পরীক্ষা করেন। কিন্তু তাদের তিন জনের রিপোর্টই নেগেটিভ আসে। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে প্রতিবেশী নূর আলমের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

শ্রীবরদীতে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ ও জরিমানা আদায়

ডিএনএ পরীক্ষায় ধর্ষক শনাক্ত

প্রকাশের সময়ঃ ০১:৫৪:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় ধর্ষণের শিকার হয়ে পুত্র সন্তান জন্ম দেয় ১২ বছরের এক শিশু। কিন্তু ধর্ষণকারীর বিষয়ে তখন মুখ খোলেনি শিশুটি। পরে শিশুটির মা বাদী হয়ে এ ঘটনায় দুই জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। কিন্তু তদন্তে ওই আসামিদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলেনি। অবশেষে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে দেড় বছর পর ধর্ষকের পরিচয় শনাক্ত হলো। তার নাম নুর আলম (৩৬)। তিনি উপজেলার খাসেরচর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নুর আলমের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়। এরপরই অভিযান চালিয়ে এদিন রাতেই নুর আলমকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছেন তিনি।

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মিজানুর রহমান জানান, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। এরপর সে গর্ভবতী হলে ছয় মাস পর বিষয়টি টের পায় পরিবার। পরে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ওই গ্রামের দুই জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এরমধ্যে গত বছরের নভেম্বরের শুরুতে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেয় ওই কিশোরী।

তিনি আরও জানান, পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠান, আর আদালত তাদের কারাগারে পাঠান। আদালতের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই দুই অভিযুক্তসহ স্থানীয় আরও একজনের ডিএনএ পরীক্ষা করেন। কিন্তু তাদের তিন জনের রিপোর্টই নেগেটিভ আসে। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে প্রতিবেশী নূর আলমের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে।