১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রমিক অসন্তোষে পোশাক খাতে ক্ষতি প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৪:৫৫:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চলমান সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুর শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে পোশাক খাত প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের উৎপাদন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিজিএমইএ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলার স্থিতিশীলতা বিবেচনায় ওই সময় বেশ কিছু কাজের অর্ডার অন্য দেশগুলোতে স্থানান্তরিত হয়েছিল। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলো আবার ফিরে আসছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, পোশাক খাতের অস্থিরতা ও শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখাটাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, শ্রমিক নেতা ও বিজিএমইর যৌথ প্রচেষ্টার পর এখন কারখানাগুলো স্বাভাবিক রয়েছে।

শ্রমিক অসন্তোষের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিজিএমইএ সভাপতি সরকারের কাছে তিন মাসের জন্য কোনো কারখানায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করার অনুরোধ জানান। ব্যাংক সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এ ছাড়া গ্যাস সংকটের সময় উৎপাদন চালু রাখতে পোশাক প্রস্তুতকারকদের সিএনজি ফিলিংস্টেশন থেকে গ্যাস সংগ্রহের অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করেন সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

সাভারে তিতাসের অভিযান, ৩টি ওয়াশিং ফ্যাক্টরির সংযোগ বিচ্ছিন্ন

শ্রমিক অসন্তোষে পোশাক খাতে ক্ষতি প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার

প্রকাশের সময়ঃ ০৪:৫৫:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চলমান সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুর শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে পোশাক খাত প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের উৎপাদন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিজিএমইএ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলার স্থিতিশীলতা বিবেচনায় ওই সময় বেশ কিছু কাজের অর্ডার অন্য দেশগুলোতে স্থানান্তরিত হয়েছিল। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলো আবার ফিরে আসছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, পোশাক খাতের অস্থিরতা ও শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখাটাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, শ্রমিক নেতা ও বিজিএমইর যৌথ প্রচেষ্টার পর এখন কারখানাগুলো স্বাভাবিক রয়েছে।

শ্রমিক অসন্তোষের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিজিএমইএ সভাপতি সরকারের কাছে তিন মাসের জন্য কোনো কারখানায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করার অনুরোধ জানান। ব্যাংক সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এ ছাড়া গ্যাস সংকটের সময় উৎপাদন চালু রাখতে পোশাক প্রস্তুতকারকদের সিএনজি ফিলিংস্টেশন থেকে গ্যাস সংগ্রহের অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করেন সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।