১১:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাশিয়া পোশাক শ্রমিক সংকট, বড় কোম্পানি বাংলাদেশে আনার পরিকল্পনা 

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ১২:০৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১৪০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাশিয়ার সবচেয়ে বড় পোশাক প্রস্তুতকারী কোম্পানি তাদের কিছু উৎপাদন সক্ষমতা দেশের বাইরে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। গ্লোরিয়া জিনস নামের এ কোম্পানি মূলত পোশাক ও জুতা তৈরি করে। শ্রমিক–সংকটের কারণে কিছু কারখানা বন্ধ করে দিয়ে কোম্পানিটি যেসব দেশে উৎপাদন সরিয়ে নেওয়ার চিন্তা করছে, তার অন্যতম বাংলাদেশ।

রুশ গণমাধ্যম কমারসান্তকে উদ্ধৃত করে ইউক্রেনের অনলাইন সংবাদপত্র ইউক্রেইনস্কা প্রাভদা জানিয়েছে, রাশিয়ার রস্তভ এলাকায় অবস্থিত কারখানাগুলো মূলত এ পদক্ষেপের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সালস্কের একটি সেলাই কারখানা ইতিমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে এবং সেখানকার কর্মীদের অন্য কারখানায় চলে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

রাশিয়াজুড়ে গ্লোরিয়া জিনসের ১৮টি কারখানা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে কোম্পানিটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।

সংবাদে বলা হয়েছে, কোম্পানিটি তাদের উৎপাদনব্যবস্থা ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ বা উজবেকিস্তানে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। উজবেকিস্তানে তুলার উৎপাদন হয়, সে কারণে কাঁচামালের স্থিতিশীল সরবরাহ রয়েছে। এসব দেশে ভালো মানের শিল্পসুবিধা বিদ্যমান। ফলে কাঁচামালের সববরাহ কিংবা উৎপাদন খরচ নিয়ে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না।

একসময় চীন ছিল রাশিয়ার পোশাক প্রস্তুতকারকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। কিন্তু রুশ ব্র্যান্ডগুলো এখন আর চীনে যেতে খুব একটা আগ্রহী নয়। ফ্যাশনশিল্পের সঙ্গে জড়িত এক প্রতিনিধি বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, বর্তমানে চীনে শ্রমিক মজুরি বাংলাদেশ কিংবা উজবেকিস্তানের তুলনায় অনেক বেশি।

রাশিয়ার পোশাকশিল্পে দক্ষ কর্মীর সংকট দিনে দিনে গভীর হচ্ছে। ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটিতে শ্রমিক–ঘাটতি আগের তুলনায় বেড়েছে। শ্রমিক–সংকটের পাশাপাশি রাশিয়ায় তৈরি কাঁচামাল ও আনুষঙ্গিক উপকরণের মানও খারাপ। ফলে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের অন্য দেশ থেকে পণ্য জোগাড় করতে হয়।

পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। এর ফলে বিদেশ থেকে সেলাই করার যন্ত্রপাতি আমদানি করা রুশ ব্যবসায়ীদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এসব আমদানির বিপরীতে দাম পরিশোধ করা যাচ্ছে না।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

সাভারে তিতাসের অভিযান, ৩টি ওয়াশিং ফ্যাক্টরির সংযোগ বিচ্ছিন্ন

রাশিয়া পোশাক শ্রমিক সংকট, বড় কোম্পানি বাংলাদেশে আনার পরিকল্পনা 

প্রকাশের সময়ঃ ১২:০৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাশিয়ার সবচেয়ে বড় পোশাক প্রস্তুতকারী কোম্পানি তাদের কিছু উৎপাদন সক্ষমতা দেশের বাইরে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। গ্লোরিয়া জিনস নামের এ কোম্পানি মূলত পোশাক ও জুতা তৈরি করে। শ্রমিক–সংকটের কারণে কিছু কারখানা বন্ধ করে দিয়ে কোম্পানিটি যেসব দেশে উৎপাদন সরিয়ে নেওয়ার চিন্তা করছে, তার অন্যতম বাংলাদেশ।

রুশ গণমাধ্যম কমারসান্তকে উদ্ধৃত করে ইউক্রেনের অনলাইন সংবাদপত্র ইউক্রেইনস্কা প্রাভদা জানিয়েছে, রাশিয়ার রস্তভ এলাকায় অবস্থিত কারখানাগুলো মূলত এ পদক্ষেপের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সালস্কের একটি সেলাই কারখানা ইতিমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে এবং সেখানকার কর্মীদের অন্য কারখানায় চলে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

রাশিয়াজুড়ে গ্লোরিয়া জিনসের ১৮টি কারখানা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে কোম্পানিটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।

সংবাদে বলা হয়েছে, কোম্পানিটি তাদের উৎপাদনব্যবস্থা ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ বা উজবেকিস্তানে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। উজবেকিস্তানে তুলার উৎপাদন হয়, সে কারণে কাঁচামালের স্থিতিশীল সরবরাহ রয়েছে। এসব দেশে ভালো মানের শিল্পসুবিধা বিদ্যমান। ফলে কাঁচামালের সববরাহ কিংবা উৎপাদন খরচ নিয়ে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না।

একসময় চীন ছিল রাশিয়ার পোশাক প্রস্তুতকারকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। কিন্তু রুশ ব্র্যান্ডগুলো এখন আর চীনে যেতে খুব একটা আগ্রহী নয়। ফ্যাশনশিল্পের সঙ্গে জড়িত এক প্রতিনিধি বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, বর্তমানে চীনে শ্রমিক মজুরি বাংলাদেশ কিংবা উজবেকিস্তানের তুলনায় অনেক বেশি।

রাশিয়ার পোশাকশিল্পে দক্ষ কর্মীর সংকট দিনে দিনে গভীর হচ্ছে। ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটিতে শ্রমিক–ঘাটতি আগের তুলনায় বেড়েছে। শ্রমিক–সংকটের পাশাপাশি রাশিয়ায় তৈরি কাঁচামাল ও আনুষঙ্গিক উপকরণের মানও খারাপ। ফলে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের অন্য দেশ থেকে পণ্য জোগাড় করতে হয়।

পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। এর ফলে বিদেশ থেকে সেলাই করার যন্ত্রপাতি আমদানি করা রুশ ব্যবসায়ীদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এসব আমদানির বিপরীতে দাম পরিশোধ করা যাচ্ছে না।