১১:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পানিতে ডুবন্ত রহস্যময় পিরামিড, বদলে দিতে পারে ইতিহাসকে

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ১১:১৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • ২৬৭ বার পড়া হয়েছে

আলোকিত কন্ঠ ডেস্কঃ আমাদের প্রাচীন সভ্যতা সম্পর্কে যে সকল তথ্য জানা আছে সেই জ্ঞানকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে তাইওয়ানের কাছে একটি ডুবে থাকা ‘পিরামিড’। কারণ তাইওয়ানের কাছে একটি ডুবে থাকা ‘পিরামিড’ আমাদের প্রাচীন সভ্যতা সম্পর্কে গবেষকদের ধারণাকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে।

ইয়োনাগুনি স্মৃতিস্তম্ভ নামে পরিচিত ঐতিহাসিক রহস্যময় এই কাঠামোটি জাপানের কাছে অবস্থিত। এটি ১৯৮৬ সালে জাপানের রিউকিউ দ্বীপপুঞ্জের কাছে আবিষ্কৃত হয়েছিল।

জাপানের কাছে অবস্থিত রহস্যময় এই দ্বীপটিতে অদ্ভুত কিছু জিনিস রয়েছে। যেমন- ধারালো কোণযুক্ত ধাপ এবং একটি স্বতন্ত্র পিরামিডের মতো আকৃতি।

সমুদ্রের ৮২ ফুট গভীরে অবস্থিত স্মৃতিস্তম্ভটি প্রায় ৯০ ফুট উঁচু। উপরন্তু স্মৃতিস্তম্ভটি সম্পূর্ণরূপে পাথর দিয়ে তৈরি।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিস্তম্ভের আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্যগুলি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বিশেষজ্ঞের ধারণা স্থাপত্যটি মানুষের তৈরিও হতে পারে।

ইয়োনাগুনি স্মৃতিস্তম্ভ আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে একটি নতুন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এই আবিষ্কার আমাদের ইতিহাসের বাইরে হারিয়ে যাওয়া সভ্যতার কি? এটি মানবসংস্কৃতির অস্তিত্বের দিকেও ইঙ্গিত দিয়েছে যা লিপিবদ্ধ ইতিহাসের অনেক আগে থেকেই বিকশিত হয়েছিল।

‘জাপানের অ্যাটলান্টিস’ নামেও পরিচিত এটি। জাপানের রহস্যময় স্মৃতিস্তম্ভটি প্রাচীন উন্নত সমাজ সম্পর্কে মিথ এবং তত্ত্বের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে যা কোনও সূত্র না রেখেই অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে।

অ্যাটলান্টিসের মতোই ইয়োনাগুনি এমন একটি সভ্যতার ইঙ্গিত দেয় যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুছে গেছে। সম্ভবত সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে। লেখক গ্রাহাম হ্যানকক, যিনি হারিয়ে যাওয়া সভ্যতাগুলির উপর তার গবেষণার জন্য পরিচিত।

তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যে- এই স্মৃতিস্তম্ভটি মানবজাতিকে এত বিশাল কাঠামো নির্মাণে সক্ষম বলে মনে করার অনেক আগেই একটি উন্নত সমাজ দ্বারা নির্মিত হতে পারে। এই দাবি যদি সত্য প্রমাণিত হয়, তবে এটি প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক সময়রেখাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে এবং প্রাচীন মানব ক্ষমতা সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে নতুন আকার দিতে পারে।

তথ্য সূত্র – এমএসএন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

নারায়ণগঞ্জে লিফলেট বিতরণ ও উঠান বৈঠকে শামীম আহমেদ ঢালীর নেতৃত্বে নজরকাঁড়া মিছিল

পানিতে ডুবন্ত রহস্যময় পিরামিড, বদলে দিতে পারে ইতিহাসকে

প্রকাশের সময়ঃ ১১:১৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

আলোকিত কন্ঠ ডেস্কঃ আমাদের প্রাচীন সভ্যতা সম্পর্কে যে সকল তথ্য জানা আছে সেই জ্ঞানকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে তাইওয়ানের কাছে একটি ডুবে থাকা ‘পিরামিড’। কারণ তাইওয়ানের কাছে একটি ডুবে থাকা ‘পিরামিড’ আমাদের প্রাচীন সভ্যতা সম্পর্কে গবেষকদের ধারণাকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে।

ইয়োনাগুনি স্মৃতিস্তম্ভ নামে পরিচিত ঐতিহাসিক রহস্যময় এই কাঠামোটি জাপানের কাছে অবস্থিত। এটি ১৯৮৬ সালে জাপানের রিউকিউ দ্বীপপুঞ্জের কাছে আবিষ্কৃত হয়েছিল।

জাপানের কাছে অবস্থিত রহস্যময় এই দ্বীপটিতে অদ্ভুত কিছু জিনিস রয়েছে। যেমন- ধারালো কোণযুক্ত ধাপ এবং একটি স্বতন্ত্র পিরামিডের মতো আকৃতি।

সমুদ্রের ৮২ ফুট গভীরে অবস্থিত স্মৃতিস্তম্ভটি প্রায় ৯০ ফুট উঁচু। উপরন্তু স্মৃতিস্তম্ভটি সম্পূর্ণরূপে পাথর দিয়ে তৈরি।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিস্তম্ভের আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্যগুলি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বিশেষজ্ঞের ধারণা স্থাপত্যটি মানুষের তৈরিও হতে পারে।

ইয়োনাগুনি স্মৃতিস্তম্ভ আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে একটি নতুন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এই আবিষ্কার আমাদের ইতিহাসের বাইরে হারিয়ে যাওয়া সভ্যতার কি? এটি মানবসংস্কৃতির অস্তিত্বের দিকেও ইঙ্গিত দিয়েছে যা লিপিবদ্ধ ইতিহাসের অনেক আগে থেকেই বিকশিত হয়েছিল।

‘জাপানের অ্যাটলান্টিস’ নামেও পরিচিত এটি। জাপানের রহস্যময় স্মৃতিস্তম্ভটি প্রাচীন উন্নত সমাজ সম্পর্কে মিথ এবং তত্ত্বের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে যা কোনও সূত্র না রেখেই অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে।

অ্যাটলান্টিসের মতোই ইয়োনাগুনি এমন একটি সভ্যতার ইঙ্গিত দেয় যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুছে গেছে। সম্ভবত সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে। লেখক গ্রাহাম হ্যানকক, যিনি হারিয়ে যাওয়া সভ্যতাগুলির উপর তার গবেষণার জন্য পরিচিত।

তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যে- এই স্মৃতিস্তম্ভটি মানবজাতিকে এত বিশাল কাঠামো নির্মাণে সক্ষম বলে মনে করার অনেক আগেই একটি উন্নত সমাজ দ্বারা নির্মিত হতে পারে। এই দাবি যদি সত্য প্রমাণিত হয়, তবে এটি প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক সময়রেখাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে এবং প্রাচীন মানব ক্ষমতা সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে নতুন আকার দিতে পারে।

তথ্য সূত্র – এমএসএন।