
মানিকগঞ্জঃ মানিকগঞ্জে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, “বাংলাদেশে বর্তমানে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে। আজকের সকাল পর্যন্ত আমাদের কাছে রেকর্ড পরিমান ২১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে, তাই জাতীয় পর্যায়ে খাদ্যের কোনো ঘাটতি নেই।
তবে মানিকগঞ্জ জেলায় খাদ্য ঘাটতিতে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। এই ঘাটতি পূরণের জন্য জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলার খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী নিয়ে খাদ্য নিয়ন্ত্রকগনদের সাথে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন খাদ্য মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ত্বে থাকা খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
খাদ্য উপদেষ্টা সাংবাদিকদের আরো বরেন, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় সারা দেশে ৫৫ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল দেওয়া হবে । আগষ্ট থেকে ডিসেম্বর এই চার মাস এই কর্মসুচী চলবে, আবার দু মাস গ্যাব দিয়ে পরবর্তী দু মাস চাল দেওয়া হবে। কৃষক তাঁর ন্যায্যমূল্য পেয়েছে, ৩৬ টাকা কেজি দরে ধান ও ৪৯ টাকা করে চালের দাম দেওয়া হয়েছে যা কৃষকের উৎপাদিত পণ্য সর্বকালের সেরা দাম পেয়েছে । তবে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীতে বছরে প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল প্রয়োজন। ৪ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য চ্যানেল ওপেন করা আছে বলেও জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক ড.মানোয়ার হোসেন মোল্লা আশ্বাস দেন,“আসন্ন সময়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় মানিকগঞ্জের সব উপজেলায় আরও কার্যকর ও স্বচ্ছ বিতরণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
এ সময় পুলিশ সুপার মোছাঃ ইয়াছমিন খাতুন, মানিকগঞ্জ সকল উপজেলার নির্বাহী অফিসারগণ ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।