০৮:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানিকগঞ্জে বালু মহালের লাইসেন্সে রমরমা বাণিজ্য

 

মানিকগঞ্জঃ মানিকগঞ্জ বালু মহাল ইজারার লাইসেন্স বাবদ সরকারি ফি ৫ হাজার টাকার পরিবর্তে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এস এ শাখার সায়েরাত সহকারী মো. আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

‎‎অনুসন্ধানে জানা যায়, আরিফের মাধ্যমে লাইসেন্স নিতে হলে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করতে হয় এবং সরকারি ফি এর বাহিরে ডিসি অফিসের এল আর ফান্ডেও টাকা প্রদান করতে হয়। কেউ অস্বীকৃতি জানালে তার লাইসেন্স ঝুলে থাকে, তা কখনো আলোর মুখ দেখে না। টাকা দিলে ৩ দিনেও লাইসেন্স মেলে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। বালু মহাল ইজারার লাইসেন্স এর সরকারি ফি সব মিলিয়ে ৫ হাজার ৫০০ টাকা। তবে লাইসেন্সের আলোর মুখ দেখতে হলে ৫ হাজারের পরিবর্তে গুনতে হয় এক লোখ থেকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ফি।

‎‎বালুমহালের লাইসেন্স প্রাপ্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানায়, ডিসি অফিসের আরিফের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকা দিয়ে লাইসেন্স করেছি। টাইম ছিলো না, বৃহস্পতিবার টাকা জমা দিয়েছি রোববারই লাইসেন্স করে দিয়েছে। আমি নিজে গুনে আরিফের কাছে টাকা দিছি। আরিফের না করার মত ক্ষমতা নাই। এখান থেকে এল আর ফান্ডে গিয়েছে ৫৫ হাজার টাকা। লাইসেন্স বাবদ সর্বমোট আমি আরিফের কাছে মোট দেড় রাখ টাকা দিয়েছি।

‎‎অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এস এ শাখার সায়েরাত সহকারী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, এগুলো মিথ্যা। আমি কোনো টাকা পয়সা গ্রহণ করিনি। এখানে কোন টাকা দেয়ার সুযোগ নাই, টাকা জমা দিতে হয় ব্যাংকে।

‎‎এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

ধানের শীষকে ফিরিয়ে আনাই মূল লক্ষ্য -আফরোজা খানম রিতা

মানিকগঞ্জে বালু মহালের লাইসেন্সে রমরমা বাণিজ্য

প্রকাশের সময়ঃ ০৮:২১:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

 

মানিকগঞ্জঃ মানিকগঞ্জ বালু মহাল ইজারার লাইসেন্স বাবদ সরকারি ফি ৫ হাজার টাকার পরিবর্তে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এস এ শাখার সায়েরাত সহকারী মো. আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

‎‎অনুসন্ধানে জানা যায়, আরিফের মাধ্যমে লাইসেন্স নিতে হলে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করতে হয় এবং সরকারি ফি এর বাহিরে ডিসি অফিসের এল আর ফান্ডেও টাকা প্রদান করতে হয়। কেউ অস্বীকৃতি জানালে তার লাইসেন্স ঝুলে থাকে, তা কখনো আলোর মুখ দেখে না। টাকা দিলে ৩ দিনেও লাইসেন্স মেলে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। বালু মহাল ইজারার লাইসেন্স এর সরকারি ফি সব মিলিয়ে ৫ হাজার ৫০০ টাকা। তবে লাইসেন্সের আলোর মুখ দেখতে হলে ৫ হাজারের পরিবর্তে গুনতে হয় এক লোখ থেকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ফি।

‎‎বালুমহালের লাইসেন্স প্রাপ্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানায়, ডিসি অফিসের আরিফের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকা দিয়ে লাইসেন্স করেছি। টাইম ছিলো না, বৃহস্পতিবার টাকা জমা দিয়েছি রোববারই লাইসেন্স করে দিয়েছে। আমি নিজে গুনে আরিফের কাছে টাকা দিছি। আরিফের না করার মত ক্ষমতা নাই। এখান থেকে এল আর ফান্ডে গিয়েছে ৫৫ হাজার টাকা। লাইসেন্স বাবদ সর্বমোট আমি আরিফের কাছে মোট দেড় রাখ টাকা দিয়েছি।

‎‎অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এস এ শাখার সায়েরাত সহকারী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, এগুলো মিথ্যা। আমি কোনো টাকা পয়সা গ্রহণ করিনি। এখানে কোন টাকা দেয়ার সুযোগ নাই, টাকা জমা দিতে হয় ব্যাংকে।

‎‎এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।