০২:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কর্মচারী শূন্য, সেবায় অচলাবস্থা

সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিস সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই কার্যত জনশূন্য হয়ে পড়েছে।

কর্মকর্তাসহ কোনো কর্মচারীকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি। কেবল কয়েকজন আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। এতে প্রায় ৪ লাখ মানুষের বিদ্যুৎসেবা নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যুতের লাইনে ত্রুটি দেখা দিলেও তাৎক্ষণিকভাবে মেরামতের ব্যবস্থা হচ্ছে না। জরুরি রিপেয়ার, ট্রান্সফরমার মেরামত, নতুন সংযোগ বা লোড বৃদ্ধির কাজ, বিলিং ও অভিযোগ গ্রহণ—সবই বন্ধ বা ধীরগতিতে চলছে। ফলে সাধারণ মানুষ বিকল্প হিসেবে অনভিজ্ঞ ও অননুমোদিত ‘ভিলেজ ইলেকট্রিশিয়ান’-দের ডাকতে বাধ্য হচ্ছেন, যা মারাত্মক ঝুঁকির আশঙ্কা তৈরি করছে।

দিনভর বাজার এলাকা ও আবাসিক পাড়ায় দেখা গেছে, ছোটখাটো লাইন ফল্ট থেকে শুরু করে মিটারের সমস্যায় ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, ওষুধের দোকান, ঠান্ডা সংরক্ষণকারী ব্যবসা এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়ছেন। কৃষি সেচে বিদ্যুৎ না থাকায় বীজতলা ও সবজি ক্ষেতে প্রভাব পড়তে পারে বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন কৃষকরা।

অফিস প্রাঙ্গণে থাকা আনসার সদস্যরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

যশোর খুলনা ও কপিলমুনিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এডুকেশন এক্সপো- ২৫

কালিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কর্মচারী শূন্য, সেবায় অচলাবস্থা

প্রকাশের সময়ঃ ০৮:৫৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিস সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই কার্যত জনশূন্য হয়ে পড়েছে।

কর্মকর্তাসহ কোনো কর্মচারীকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি। কেবল কয়েকজন আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। এতে প্রায় ৪ লাখ মানুষের বিদ্যুৎসেবা নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যুতের লাইনে ত্রুটি দেখা দিলেও তাৎক্ষণিকভাবে মেরামতের ব্যবস্থা হচ্ছে না। জরুরি রিপেয়ার, ট্রান্সফরমার মেরামত, নতুন সংযোগ বা লোড বৃদ্ধির কাজ, বিলিং ও অভিযোগ গ্রহণ—সবই বন্ধ বা ধীরগতিতে চলছে। ফলে সাধারণ মানুষ বিকল্প হিসেবে অনভিজ্ঞ ও অননুমোদিত ‘ভিলেজ ইলেকট্রিশিয়ান’-দের ডাকতে বাধ্য হচ্ছেন, যা মারাত্মক ঝুঁকির আশঙ্কা তৈরি করছে।

দিনভর বাজার এলাকা ও আবাসিক পাড়ায় দেখা গেছে, ছোটখাটো লাইন ফল্ট থেকে শুরু করে মিটারের সমস্যায় ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, ওষুধের দোকান, ঠান্ডা সংরক্ষণকারী ব্যবসা এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়ছেন। কৃষি সেচে বিদ্যুৎ না থাকায় বীজতলা ও সবজি ক্ষেতে প্রভাব পড়তে পারে বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন কৃষকরা।

অফিস প্রাঙ্গণে থাকা আনসার সদস্যরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।