
লালমনিরহাটঃ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে দুটি সড়ক সংস্কার কাজে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীর ভুলে চলবলা এবং চন্দ্রপুর ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ দুটি সড়ক সংস্কার কাজের গাফিলতির কারণে দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়েছে,শিক্ষক,শিক্ষার্থী,যানবাহনসহ কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, অনিয়ম আর সিন্ডিকেট তৈরীর মাধ্যমে উপজেলার বুড়িরহাট – চন্দ্রপুর সড়কের ৩ কিলোমিটার ৯৩ মিটার এবং চলবলা ইউনিয়নের দুহুলি – জোড়গাছ জিসি সড়কের ৫ কিলোমিটার ২৫০ মিটার অংশ উন্নয়নের জন্য যথাক্রমে ৩ কোটি ৯১ লাখ এবং ৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দরপত্র অনুযায়ী, চন্দ্রপুর সড়কের কাজ পেয়েছে মোহাম্মদ ইউনূস অ্যান্ড ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড এবং চলবলা সড়কের কাজ পেয়েছে বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। প্রতিষ্ঠান দুটি পারফরমেন্স সিকিউরিটি জমা দিলেও এখনো কার্যাদেশ না দিয়ে এলজিইডি লালমনিরহাট এবং কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের যোগসাজসে সিন্ডিকেট বাণিজ্যে আর রশি টানাটানির কারনে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দুটি এখনও কাজ শুরু করতে পারেনি।
সড়ক দুটির কাজ উপজেলা প্রকৌশলীর নির্দেশনায় ওয়ার্ক এসিস্টেন্ড সিরাজের উপস্থিতিতে অবৈধভাবে সড়কের খনন কাজ শুরু করেন অন্য ঠিকাদার । এ বিষয়ে দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। প্রতিকার ও রাস্তা দখল উচ্ছেদের জন্য কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন সুফল পাচ্ছে না ঠিকাদারেরা। কাজে দখলদারিত্বের এমন ঘটনায় স্থানীয় জনগনের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া প্রভাব ফেলেছে।
দখলদারিত্বের কবলে পড়া সড়ক দুটি সংস্কার করে জনগণের চলাচলের দুর্ভোগ লাঘবে বদলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে কয়েকটি গ্রামের মানুষ । আটকে গেছে সংস্কার কাজ। অবৈধভাবে প্রকৌশলীর নির্দেশনায় সড়ক সংস্কার কাজের শুভ উদ্বোধন করা হলেও রাস্তা খুড়ে রাখায় বৃষ্টির পানিতে সড়ক দুটি নালায় পরিনত হয়েছে। স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ পড়েছে ভোগান্তিতে। এ বিষয়ে কতৃপক্ষের কোনে নজর নেই।
স্থানীয়রা জানান, সড়কটি এখন হাঁটু পানিতে পরিণত হয়েছে। এতে যানবাহন তো দুরের কথা পায়ে হেঁটে চলাও কষ্টকর হয়েছে ।
তেতুলিয়া এলাকার সামদ মিয়া বলেন, দেড় মাস ধরে সড়কটি খুঁড়ে রাখা হয়েছে ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না। সড়কটি এমন অবস্থায় থাকলে শিশুরা যেকোনো সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে।
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান বলেন, জনদুর্ভোগ হলেও আমার কিছু বলার নেই। কার্যাদেশ দেওয়ার দায়িত্ব নির্বাহী প্রকৌশলীর। সড়ক দুটির কাজ কোন ঠিকাদারের এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয় আমি কিছুই জানি না।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া সুলতানা বলেন, কাজটি বেআইনিভাবে শুরু হয়েছিল, তাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সমাধানের জন্য কাজ চলছে। খুব শিগগিরই কার্যাদেশ জারি হলে কাজ শুরু হবে।
এবিষয়ে লালমনিরহাট স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী কাওছার আলম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি মিটিং এ পরে কথা হবে।