০৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে শেষ শারদীয় দুর্গোৎসব

  • ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময়ঃ ১১:৫২:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

 

ঢাকাঃ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা আজ বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে। পাঁচ দিনব্যাপী পূজা-অর্চনা, আরাধনা ও আনন্দ-উৎসব শেষে আজ দেবী দুর্গাকে বিদায় জানাবেন ভক্তরা।

পূজা ও বিসর্জন

বৃহস্পতিবার সকালে দশমী বিহিত পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় শেষ দিনের আনুষ্ঠানিকতা। ঢাকার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পূজা শুরু হয় সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে। পূজার পর অনুষ্ঠিত হবে দর্পণ বিসর্জন, যেখানে দেবীর প্রতিবিম্বকে পানিতে বিসর্জনের মাধ্যমে মর্ত্যে তাঁর অবস্থানের পরিসমাপ্তি জানানো হয়।

শোভাযাত্রা ও প্রতিমা নিরঞ্জন

দুপুর ১২টায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আয়োজিত হবে স্বেচ্ছা রক্তদান কর্মসূচি, যা প্রতি বছর বিজয়া দশমীতে একটি নিয়মিত আয়োজন। বিকেল ৩টা থেকে শুরু হবে বিজয়ার শোভাযাত্রা, যেখানে রাজধানীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপ থেকে আনা প্রতিমা একত্রিত হয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেবে।

এই শোভাযাত্রা গিয়ে পৌঁছাবে বুড়িগঙ্গা নদীর ওয়াইজঘাট বিসর্জন ঘাটে, যেখানে সন্ধ্যার মধ্যে সম্পন্ন হবে দেবী বিসর্জন। এই বছর দেবী এসেছিলেন গজে (হাতি) চড়ে—যা শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। আর গমন হচ্ছে দোলায় (দোলনায়)—যা প্রস্থানকে করে তুলছে আবেগঘন ও শোকাবহ।

সিঁদুর খেলার উৎসব

বিজয়া দশমীর আরেক ঐতিহ্যবাহী আয়োজন হলো সিঁদুর খেলা। দেবী বিসর্জনের আগে বিবাহিত নারীরা দেবীর চরণে সিঁদুর দান করে তা একে অপরের কপালে ও মুখে পরিয়ে দেন। এটি সৌভাগ্য, সুখ ও দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির, বনানী মণ্ডপ, ও ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মণ্ডপে এই আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন হাজারো নারী।

ধর্মীয় আনুগত্যের পাশাপাশি সামাজিক সম্প্রীতির প্রতীক

শারদীয় দুর্গোৎসব কেবল ধর্মীয় অনুষ্ঠানই নয়—এটি বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতির অন্যতম প্রতিচ্ছবি। বিদায়লগ্নে আবেগে ভাসলেও, সকলে অপেক্ষায় থাকবেন আগামী বছর দেবী দুর্গার আগমনের জন্য—‘আসছে বছর আবার হবে’ প্রত্যাশায়।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

মধুপুরে শিক্ষা সহায়ক উপকরণ ও নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

আজ বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে শেষ শারদীয় দুর্গোৎসব

প্রকাশের সময়ঃ ১১:৫২:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫

 

ঢাকাঃ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা আজ বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে। পাঁচ দিনব্যাপী পূজা-অর্চনা, আরাধনা ও আনন্দ-উৎসব শেষে আজ দেবী দুর্গাকে বিদায় জানাবেন ভক্তরা।

পূজা ও বিসর্জন

বৃহস্পতিবার সকালে দশমী বিহিত পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় শেষ দিনের আনুষ্ঠানিকতা। ঢাকার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পূজা শুরু হয় সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে। পূজার পর অনুষ্ঠিত হবে দর্পণ বিসর্জন, যেখানে দেবীর প্রতিবিম্বকে পানিতে বিসর্জনের মাধ্যমে মর্ত্যে তাঁর অবস্থানের পরিসমাপ্তি জানানো হয়।

শোভাযাত্রা ও প্রতিমা নিরঞ্জন

দুপুর ১২টায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আয়োজিত হবে স্বেচ্ছা রক্তদান কর্মসূচি, যা প্রতি বছর বিজয়া দশমীতে একটি নিয়মিত আয়োজন। বিকেল ৩টা থেকে শুরু হবে বিজয়ার শোভাযাত্রা, যেখানে রাজধানীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপ থেকে আনা প্রতিমা একত্রিত হয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেবে।

এই শোভাযাত্রা গিয়ে পৌঁছাবে বুড়িগঙ্গা নদীর ওয়াইজঘাট বিসর্জন ঘাটে, যেখানে সন্ধ্যার মধ্যে সম্পন্ন হবে দেবী বিসর্জন। এই বছর দেবী এসেছিলেন গজে (হাতি) চড়ে—যা শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। আর গমন হচ্ছে দোলায় (দোলনায়)—যা প্রস্থানকে করে তুলছে আবেগঘন ও শোকাবহ।

সিঁদুর খেলার উৎসব

বিজয়া দশমীর আরেক ঐতিহ্যবাহী আয়োজন হলো সিঁদুর খেলা। দেবী বিসর্জনের আগে বিবাহিত নারীরা দেবীর চরণে সিঁদুর দান করে তা একে অপরের কপালে ও মুখে পরিয়ে দেন। এটি সৌভাগ্য, সুখ ও দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির, বনানী মণ্ডপ, ও ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মণ্ডপে এই আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন হাজারো নারী।

ধর্মীয় আনুগত্যের পাশাপাশি সামাজিক সম্প্রীতির প্রতীক

শারদীয় দুর্গোৎসব কেবল ধর্মীয় অনুষ্ঠানই নয়—এটি বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতির অন্যতম প্রতিচ্ছবি। বিদায়লগ্নে আবেগে ভাসলেও, সকলে অপেক্ষায় থাকবেন আগামী বছর দেবী দুর্গার আগমনের জন্য—‘আসছে বছর আবার হবে’ প্রত্যাশায়।