১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চলমান ভারী বর্ষণে প্লাবিত হতে পারে যে পাঁচ জেলা

  • আবহাওয়া ডেস্কঃ
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৫:০৬:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৪ বার পড়া হয়েছে

ঢাকাঃ চলমান ভারী বর্ষণে দেশের নদ-নদীর পানি বেড়ে পাঁচটি জেলার নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

এই পাঁচ জেলা হল—লালমনিরহাট, নীলফামারী, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের সকল প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বুলেটিনে বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের উড়িষ্যা-অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করে বর্তমানে স্থল নিম্নচাপ আকারে তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু স্থানে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

তবে উজানে ভারতে উল্লেখযোগ্য ভারি বৃষ্টিপাত হয়নি। আগামী তিন দিন (৩ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে ৬ অক্টোবর সকাল ৯টা পর্যন্ত) দেশের ভেতরে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিং ও সিলেট জেলায় এবং সংলগ্ন উজানে ভারতের প্রদেশগুলোতে বিচ্ছিন্নভাবে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

বুলেটিনে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা নদীর পানি সমতল গত ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে; ধরলা নদীর পানি সমতল হ্রাস পেলেও দুধকুমার নদের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে।

এসব নদীর পানি সমতল আগামী তিন দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময় তিস্তা নদী সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।

অন্যদিকে, ময়মনসিংহ বিভাগের সোমেশ্বরী ও ভুগাই নদীর পানি সমতল গত ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে; কংস নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে।

এসব নদীর পানি সমতল আগামী তিন দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময় সোমেশ্বরী, ভুগাই-কংস নদী শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা জেলায় সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।

এছাড়া রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের করতোয়া, যমুনেশ্বরী, পুনর্ভবা, টাঙ্গন নদীর পানি সমতল গত ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে; আত্রাই, আপার-আত্রাই, মহানন্দা ও ঘাঘট নদীর পানি সমতল হ্রাস পেয়েছে। এসব নদীর পানি সমতল আগামী তিন দিন দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।

বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীগুলোতে স্বাভাবিকের থেকে উঁচু জোয়ার হচ্ছে, যা আগামী এক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

নারায়ণগঞ্জে লিফলেট বিতরণ ও উঠান বৈঠকে শামীম আহমেদ ঢালীর নেতৃত্বে নজরকাঁড়া মিছিল

চলমান ভারী বর্ষণে প্লাবিত হতে পারে যে পাঁচ জেলা

প্রকাশের সময়ঃ ০৫:০৬:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

ঢাকাঃ চলমান ভারী বর্ষণে দেশের নদ-নদীর পানি বেড়ে পাঁচটি জেলার নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

এই পাঁচ জেলা হল—লালমনিরহাট, নীলফামারী, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের সকল প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বুলেটিনে বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের উড়িষ্যা-অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করে বর্তমানে স্থল নিম্নচাপ আকারে তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু স্থানে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

তবে উজানে ভারতে উল্লেখযোগ্য ভারি বৃষ্টিপাত হয়নি। আগামী তিন দিন (৩ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে ৬ অক্টোবর সকাল ৯টা পর্যন্ত) দেশের ভেতরে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিং ও সিলেট জেলায় এবং সংলগ্ন উজানে ভারতের প্রদেশগুলোতে বিচ্ছিন্নভাবে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

বুলেটিনে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা নদীর পানি সমতল গত ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে; ধরলা নদীর পানি সমতল হ্রাস পেলেও দুধকুমার নদের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে।

এসব নদীর পানি সমতল আগামী তিন দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময় তিস্তা নদী সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।

অন্যদিকে, ময়মনসিংহ বিভাগের সোমেশ্বরী ও ভুগাই নদীর পানি সমতল গত ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে; কংস নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে।

এসব নদীর পানি সমতল আগামী তিন দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময় সোমেশ্বরী, ভুগাই-কংস নদী শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা জেলায় সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।

এছাড়া রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের করতোয়া, যমুনেশ্বরী, পুনর্ভবা, টাঙ্গন নদীর পানি সমতল গত ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে; আত্রাই, আপার-আত্রাই, মহানন্দা ও ঘাঘট নদীর পানি সমতল হ্রাস পেয়েছে। এসব নদীর পানি সমতল আগামী তিন দিন দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।

বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীগুলোতে স্বাভাবিকের থেকে উঁচু জোয়ার হচ্ছে, যা আগামী এক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।