
জাবিঃ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ৮০ তম জন্মবার্ষিকী ও তার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে শাখা ছাত্রদলের একাংশের নেতা-কর্মীরা।তবে ওই মিলাদ মাহফিলে শাখা ছাত্রদলের শীর্ষ দুই নেতা উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গেছে।
আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জুম্মার নামাজের পর এ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন তারা।
শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বলছেন, আজকের এতো গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচীতে জাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক, সদস্য সচিবসহ সুপার ফাইভের নেতাদের দেখা যায়নি। গত ৮ তারিখ থেকে তারা ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত। এটা ছাত্রদলের প্রতি বিরূপ প্রভাব পড়ছে কারণ সামনে জাকসু নির্বাচন এই মূহুর্তে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে প্যানেলের জন্য কাজ করার দরকার কিন্তু তারা বির্তকিত কমিটি করার মাধ্যমে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারছে না। ফলে জাকসুতে ছাত্রদল কেমন ফলাফল করবে তা নিয়ে অনেকটা অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে। আমরা ত্যাগীরা ছাত্রদলের ভাবমূর্তি কাউকে নষ্ট করতে দিবো না। জাকসু নিয়ে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের কার্যক্রম সন্দেহ ও উদ্বেগজনক। জাকসুর আগ মুহুর্তে বির্তকিত কমিটি দিয়ে যে অচলাবস্থা তৈরী করেছে তারা তা রুখে দিয়ে জাকসুতে ছাত্রদলের উজ্জ্বল অতীত ধরে রাখবেন বলে জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি বর্ধিত করা হয় ও একইদিনে ১৭ টি হলে কমিটি ঘোষণা করে ছাত্রদল। তবে ওই কমিটিতে ছাত্রলীগ, ছাত্রশিবিরসহ নানা বিতর্কিতরা পদ পেয়েছেন অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেন নেতা-কর্মীরা একাংশ। এরপর থেকে এসব নেতা-কর্মী ক্যাম্পাসে শোডাউন দিচ্ছেন। কিন্তু শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর ও সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিকসহ শোর্ষ পাঁচ নেতাকে ক্যাম্পাসে দেখা যায়নি।
আজকের মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জরজীস মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, “গনতন্ত্রের মা বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদ জিয়ার ৮০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের পূর্ব ঘোষিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের অংশ হিসেবে জাবি শাখা ছাত্রদলেরও দোয়া-মাহফিল করার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক-সদস্য সচিব সহ অন্য শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ক্যাম্পাসে ‘বিতর্কিত’ বর্ধিত কমিটি ও হল কমিটি ঘোষণার পর ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে গেছেন। গত ৮ দিন ধরে তারা ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের কোন কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালনা করছে না। এমনকি আজকের দিনে আমাদের দেশনেত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনায় যে দোয়া মাহফিল তারা সেটিও করতে আসেনি। আমরা দেশনেত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনা করি। এবং এ ব্যর্থ আহ্বায়ক-সদস্য সচিবদের অব্যাহতি দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”