০৮:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শার্শায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর’ পশু চিকিৎসকসহ দু’জনকে মারধর

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৬:০৪:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

 

যশোরঃ যশোরের শার্শায় ইবাদুল ট্রের্ডাস নামে এক ব্যবসা প্রতিষ্টানে হামলা ভাংচুর চালিয়ে পশু চিকিৎসক ইবাদুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই আশিকুর রহমানকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী যুবলীগ কর্মি হারুন আর-রশিদের বিরুদ্ধে।

গতকাল মঙ্গলবার (২৮ শে অক্টোবর) বিকালে উপজেলার বাগআঁচড়া (সাতমাইল) বাজারে এ হামলা ভাংচুর ও মারধরের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত হারুন আর- রশিদ বাগআঁচড়া সাতমাইল গ্রামের আবু দাউদের ছেলে। এঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

হারুন আর-রশিদ বিগত আঃলীগ সরকারের আমলে যুবলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলো। আঃ লীগের প্রতিটা মিছিল মিটিংয়ে তিনি অংশগ্রহণ করত। গত ৫ ই আগস্টের পর একটি দলের প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তির ছত্রছায়ায় বিএনপি-র রাজনীতিতে অনুপ্রবেশ করে হারুন অর-রশিদ।

জানা গেছে, ইবাদুল ট্রেডার্স এর স্বত্বাঅধিকারী পশু চিকিৎসক ইবাদুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই আশিকুর রহমান প্রতিদিনের ন্যায় ভেটেরিনারি ওষুধ ব্যবসা পরিচালনা করছিলো। এসময় সুমন নামে এক যুবক উক্ত হারুন আর রশিদের নাম বলে তিনশত পঞ্চশ টাকার ওষুধ বাকী চাই। তখন ইবাদুল ইসলাম অভিযুক্ত হারুন আর রশিদের কাছে পূর্ব ছয় হাজার টাকা বাকী পাওনা থাকাতে প্রথমে বাকী দিতে অস্বীকৃতি জানালেও পরে ঐ যুবকের কাছে তিনশত পঞ্চশ টাকার ভেটেরিনারি ওষধ দিয়ে দেয়। এরকিছু সময় পর অভিযুক্ত হারুন আর-রশিদ পশু ইবাদুল ট্রের্ডাসে এসে পশু চিকিৎসক ইবাদুল কাছে ঔষধ দিতে কেন দেরি করলো প্রশ্ন করে। প্রশ্ন করাকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হারুন অর-রশিদ দোকানে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও
ইবাদুল এবং তার ছোট ভাই আশিককে মারধর করে।

ইবাদুল ইসলামের পাশের দোকানদার জাকির হোসেন জানান, ওষুধ বেচাকেনা নিয়ে হারুন আর-রশিদ ও ইবাদুল দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। হঠাৎ হারুন অর-রশিদ ইবাদুল ও আশিকুর মারধর করে।

অভিযুক্ত হারুন আর-রশিদ জানান, ইবাদুল ও আশিকুর আমার বন্ধু হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এনিয়ে কিছু লেখালিখির দরকার নেই। এসময় প্রতিবেদকের সাথে সন্ধ্যায় সরাসরি কথা বলার প্রস্তাব দেন হারুন অর-রশিদ।

শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আলিম জানান, এঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। যদি ভিকটিম থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়’ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত

শার্শায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর’ পশু চিকিৎসকসহ দু’জনকে মারধর

প্রকাশের সময়ঃ ০৬:০৪:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

 

যশোরঃ যশোরের শার্শায় ইবাদুল ট্রের্ডাস নামে এক ব্যবসা প্রতিষ্টানে হামলা ভাংচুর চালিয়ে পশু চিকিৎসক ইবাদুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই আশিকুর রহমানকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী যুবলীগ কর্মি হারুন আর-রশিদের বিরুদ্ধে।

গতকাল মঙ্গলবার (২৮ শে অক্টোবর) বিকালে উপজেলার বাগআঁচড়া (সাতমাইল) বাজারে এ হামলা ভাংচুর ও মারধরের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত হারুন আর- রশিদ বাগআঁচড়া সাতমাইল গ্রামের আবু দাউদের ছেলে। এঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

হারুন আর-রশিদ বিগত আঃলীগ সরকারের আমলে যুবলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলো। আঃ লীগের প্রতিটা মিছিল মিটিংয়ে তিনি অংশগ্রহণ করত। গত ৫ ই আগস্টের পর একটি দলের প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তির ছত্রছায়ায় বিএনপি-র রাজনীতিতে অনুপ্রবেশ করে হারুন অর-রশিদ।

জানা গেছে, ইবাদুল ট্রেডার্স এর স্বত্বাঅধিকারী পশু চিকিৎসক ইবাদুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই আশিকুর রহমান প্রতিদিনের ন্যায় ভেটেরিনারি ওষুধ ব্যবসা পরিচালনা করছিলো। এসময় সুমন নামে এক যুবক উক্ত হারুন আর রশিদের নাম বলে তিনশত পঞ্চশ টাকার ওষুধ বাকী চাই। তখন ইবাদুল ইসলাম অভিযুক্ত হারুন আর রশিদের কাছে পূর্ব ছয় হাজার টাকা বাকী পাওনা থাকাতে প্রথমে বাকী দিতে অস্বীকৃতি জানালেও পরে ঐ যুবকের কাছে তিনশত পঞ্চশ টাকার ভেটেরিনারি ওষধ দিয়ে দেয়। এরকিছু সময় পর অভিযুক্ত হারুন আর-রশিদ পশু ইবাদুল ট্রের্ডাসে এসে পশু চিকিৎসক ইবাদুল কাছে ঔষধ দিতে কেন দেরি করলো প্রশ্ন করে। প্রশ্ন করাকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হারুন অর-রশিদ দোকানে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও
ইবাদুল এবং তার ছোট ভাই আশিককে মারধর করে।

ইবাদুল ইসলামের পাশের দোকানদার জাকির হোসেন জানান, ওষুধ বেচাকেনা নিয়ে হারুন আর-রশিদ ও ইবাদুল দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। হঠাৎ হারুন অর-রশিদ ইবাদুল ও আশিকুর মারধর করে।

অভিযুক্ত হারুন আর-রশিদ জানান, ইবাদুল ও আশিকুর আমার বন্ধু হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এনিয়ে কিছু লেখালিখির দরকার নেই। এসময় প্রতিবেদকের সাথে সন্ধ্যায় সরাসরি কথা বলার প্রস্তাব দেন হারুন অর-রশিদ।

শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আলিম জানান, এঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। যদি ভিকটিম থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়’ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।