১০:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন

 

শেরপুরঃ শেরপুরে স্ত্রীর পরকীয়ার সন্দেহকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কুসুমহাটি কান্দাশেরী গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত একাব্বর মিয়া (২৮) ওই এলাকার মৃত হায়দার আলীর দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে। আর অভিযুক্ত ছোট ভাই ফারুক মিয়া একই বাবার তৃতীয় স্ত্রী মুসেদার সন্তান।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ফারুক মিয়া তার স্ত্রী মাকসুদা বেগমের সঙ্গে বড় ভাই একাব্বর মিয়ার পরকীয়ার সন্দেহে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহে জড়িত ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে একই বিষয় নিয়ে আবারও বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত ফারুক ঘরের ভেতর থেকে ধারালো রামদা এনে বড় ভাই একাব্বরের ওপর একাধিক কোপ দেয়।

গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা একাব্বরকে উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। তবে পথেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ফারুকের স্ত্রী মাকসুদা বেগম জানান, “আমার সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়টি পুরোপুরি মিথ্যা। ফারুক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আমাকে মারধর করার পর একাব্বরকে কোপায়।”

শেরপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. প্রমা বলেন, “একাব্বরকে সকাল ৯টার দিকে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার হাত, গাল ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গভীর কোপের আঘাত ছিল। জরুরি চিকিৎসার পর ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হয়।”

এদিকে একাব্বরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নাসরিন আক্তার বলেন, “এটি পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে সংঘটিত একটি হত্যাকাণ্ড। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এখনো কেউ আটক হয়নি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর শহীদ ও আহতদের স্মরণে নারায়ণগঞ্জে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের আলোচনা সভা ও দোয়া

শেরপুরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন

প্রকাশের সময়ঃ ০৮:৫১:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

 

শেরপুরঃ শেরপুরে স্ত্রীর পরকীয়ার সন্দেহকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কুসুমহাটি কান্দাশেরী গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত একাব্বর মিয়া (২৮) ওই এলাকার মৃত হায়দার আলীর দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে। আর অভিযুক্ত ছোট ভাই ফারুক মিয়া একই বাবার তৃতীয় স্ত্রী মুসেদার সন্তান।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ফারুক মিয়া তার স্ত্রী মাকসুদা বেগমের সঙ্গে বড় ভাই একাব্বর মিয়ার পরকীয়ার সন্দেহে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহে জড়িত ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে একই বিষয় নিয়ে আবারও বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত ফারুক ঘরের ভেতর থেকে ধারালো রামদা এনে বড় ভাই একাব্বরের ওপর একাধিক কোপ দেয়।

গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা একাব্বরকে উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। তবে পথেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ফারুকের স্ত্রী মাকসুদা বেগম জানান, “আমার সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়টি পুরোপুরি মিথ্যা। ফারুক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আমাকে মারধর করার পর একাব্বরকে কোপায়।”

শেরপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. প্রমা বলেন, “একাব্বরকে সকাল ৯টার দিকে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার হাত, গাল ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গভীর কোপের আঘাত ছিল। জরুরি চিকিৎসার পর ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হয়।”

এদিকে একাব্বরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নাসরিন আক্তার বলেন, “এটি পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে সংঘটিত একটি হত্যাকাণ্ড। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এখনো কেউ আটক হয়নি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”