
মানিকগঞ্জঃ মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার অন্নয়পুর গ্রামের মো. আব্বাস আলীর জীবনে স্বাবলম্বী হওয়ার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। মানবিক সংগঠন শতরূপা মানবিক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন–এর পক্ষ থেকে তাকে একটি নতুন অটোরিকশা উপহার দেওয়া হয়েছে। যা তার ও তার পরিবারের জন্য একটি স্থায়ী আয়ের উৎস হিসেবে কাজ করবে।
এই মহতী উদ্যোগের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা ও ইতালি প্রবাসী জনাব মোজাম্মেল হোসেন মোল্লা। তার অর্থায়নেই আব্বাস আলীর এই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়।
অটোরিকশা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মোজাম্মেল হোসেন মোল্লার বন্ধু মহল উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, রফিকুল ইসলামসহ আরও অনেকে। তারা এই মানবিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
উপহার পেয়ে আবেগাপ্লুত আব্বাস আলী বলেন—
“আমি বন্ধু মোজাম্মেল হোসেন মোল্লা ও “শতরূপা মানবিক উন্নয়ন” ফাউন্ডেশনের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। এই সহায়তা আমার পরিবারের জন্য নতুন আশার আলো হয়ে এসেছে।”
এই উদ্যোগ সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুঠোফোনে জনাব মোজাম্মেল হোসেন মোল্লা বলেন—
“মানুষের সেবা করাই জীবনের সবচেয়ে বড় ইবাদত। আমরা যারা বিদেশে থাকি, দেশের মানুষের প্রতি দায়িত্ব ভুলে গেলে চলবে না। সমাজের যাদের সামর্থ্য আছে, তাদের উচিত এগিয়ে আসা। আব্বাস আলী আমার বন্ধু, দুনিয়ার সকল মানুষই সমান,মানুষের মাঝে কোন ছোট বড় নেই। আব্বাস আলীর মতো একজন পরিশ্রমী মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। তার মুখের হাসিটাই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
আমি সবসময় চেষ্টা করি—নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে দাঁড়াতে। শতরূপা মানবিক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন হচ্ছে একটি পরিবার, যেখানে সবাই মিলে ভালো কাজ করার প্রতিজ্ঞায় যুক্ত আছি। আল্লাহ চাইলে ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে মানুষের কল্যাণে কাজ করব। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা আমার সঙ্গে থাকলে আমরা ইনশাআল্লাহ আরও অনেক ‘আব্বাস আলী’র পাশে দাঁড়াতে পারব।”
এই বক্তব্যে জনাব মোজাম্মেল হোসেন মোল্লার মানবিক মূল্যবোধ, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং নিঃস্বার্থ মনোভাব অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।
প্রসঙ্গত, “শতরূপা মানবিক উন্নয়ন” ফাউন্ডেশন এর আগেও অসহায়দের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ, শিক্ষাসামগ্রী প্রদান, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঈদ পুনর্মিলনীসহ নানা মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
এই ধরনের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে সমাজের অন্যান্য বিত্তবানদের মানবিক কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আশা করা যায়।
স্টাফ রিপোর্টার মানিকগঞ্জঃ 



















