১১:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিবালয়ে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা, ১ নারীকে কারাদণ্ড

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ১১:৫০:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪
  • ১৬৬ বার পড়া হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার : মানিকগঞ্জের শিবালয়ে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করায় আমেনা বেগম (৩৯) নামের এক নারীকে ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল । একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১ মাসের সশ্রম কারাদন্ডও প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে আসামীর অনুপস্থিতিতে মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম তানিয়া কামাল এই রায় প্রদান করেন।
দন্ডিত আমেনা বেগম নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভূপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আরিফ হোসেনের স্ত্রী। তিনি কাজের সুবাধে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে টেপড়া এলাকায় ভাড়াবাসায় থাকতেন। ভুক্তভোগী শাহীনুজ্জামান বাবু মানিকগঞ্জের শিবালয়ের শিবরামপুর এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৬মে শাহীনুজ্জামান বাবুকে আসামী করে শিবালয় থানায় নারী ও নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা করেন আমেনা বেগম। এরপর ২০১৭ সালের ৯জুন অভিযুক্ত শাহীনুজ্জামান বাবুকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান। মামলায় ৪ মাস কারাভোগের পর শাহীনুজ্জামান বাবু জামিনে বের হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগটি তদন্ত করেন এবং মামলার অভিযোগের বিষয়ে কোন সত্যতা ও স্বাক্ষী না পাওয়ায় অভিযোগটি মিথ্যা বলে ট্রাইব্যুনালে চার্জশিট দাখিল করেন। একই সঙ্গে মামলার বাদি আমেনা বেগমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় আইনগত ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।
পরে ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি মামলাটি খারিজ করেন বিচারক। এরপর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় আমেনা বেগমের বিরুদ্ধে শাহীনুজ্জামান বাবু বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলার পর থেকে আসামী আমেনা বেগম পলাতক রয়েছেন। মামলায় ৫জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম তানিয়া কামাল আমেনা বেগমকে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি একেএম নুরুল হুদা রুবেল সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে আসামী পক্ষের আইনজীবীর নাম পরিচয় জানা যায়নি।
Tag :
About Author Information

রূপগঞ্জ টানা বর্ষণে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি, স্থায়ী জলাবদ্ধতা

শিবালয়ে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা, ১ নারীকে কারাদণ্ড

প্রকাশের সময়ঃ ১১:৫০:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪
স্টাফ রিপোর্টার : মানিকগঞ্জের শিবালয়ে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করায় আমেনা বেগম (৩৯) নামের এক নারীকে ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল । একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১ মাসের সশ্রম কারাদন্ডও প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে আসামীর অনুপস্থিতিতে মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম তানিয়া কামাল এই রায় প্রদান করেন।
দন্ডিত আমেনা বেগম নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভূপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আরিফ হোসেনের স্ত্রী। তিনি কাজের সুবাধে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে টেপড়া এলাকায় ভাড়াবাসায় থাকতেন। ভুক্তভোগী শাহীনুজ্জামান বাবু মানিকগঞ্জের শিবালয়ের শিবরামপুর এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৬মে শাহীনুজ্জামান বাবুকে আসামী করে শিবালয় থানায় নারী ও নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা করেন আমেনা বেগম। এরপর ২০১৭ সালের ৯জুন অভিযুক্ত শাহীনুজ্জামান বাবুকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান। মামলায় ৪ মাস কারাভোগের পর শাহীনুজ্জামান বাবু জামিনে বের হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগটি তদন্ত করেন এবং মামলার অভিযোগের বিষয়ে কোন সত্যতা ও স্বাক্ষী না পাওয়ায় অভিযোগটি মিথ্যা বলে ট্রাইব্যুনালে চার্জশিট দাখিল করেন। একই সঙ্গে মামলার বাদি আমেনা বেগমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় আইনগত ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।
পরে ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি মামলাটি খারিজ করেন বিচারক। এরপর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় আমেনা বেগমের বিরুদ্ধে শাহীনুজ্জামান বাবু বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলার পর থেকে আসামী আমেনা বেগম পলাতক রয়েছেন। মামলায় ৫জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম তানিয়া কামাল আমেনা বেগমকে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি একেএম নুরুল হুদা রুবেল সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে আসামী পক্ষের আইনজীবীর নাম পরিচয় জানা যায়নি।