-
- রাজনীতি, সারাদেশ
- কুড়িগ্রাম -০২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি ৫
- প্রকাশের সময়ঃ নভেম্বর, ১, ২০২৩, ৪:০৫ অপরাহ্ণ
- 310 বার পড়া হয়েছে
এম জি রাব্বুল ইসলাম পাপ্পু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : আসন্ন আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে সংসদীয় আসন কুড়িগ্রাম -০২, রাজারহাট, ফুলবাড়ী এবং কুড়িগ্রাম সদর এই তিনটি উপজেলা নিয়ে গঠিত। সেই আশির দশক থেকে এই আসনটি প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দল জাতীয় পার্টির (জাপা) কুড়িগ্রাম মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছে। দীর্ঘদিন এই আসনের সংসদ সদস্য প্রয়াত তাজুল ইসলাম এম পি নির্বাচিত হলেও তিনি কুড়িগ্রামবাসীর কাছে অতিথি পাখি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। অর্থাৎ প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নির্বাচনে কয়েক দিন আগে তিনি এলাকায় সময় দিয়ে ভোটে জয় লাভ করলেও পরবর্তীতে তাকে কুড়িগ্রাম বাসী কখনোই পাশে পান নি। যার ফলশ্রুতিতে এই আসনটি তার সময়ে কখনোই উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। অবহেলিত এবং মঙ্গাপ্রবণ এই এলাকার উন্নয়নে সংসদেও তিনি তেমন কোন দাবি দাওয়া পেশ না করায় জেলার রাস্তা ঘাট, নদী ভাঙ্গন, কর্মসংস্থানের অভাব এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ অবকাঠামোগত উন্নয়নে অনেক পিছিয়ে পরে। পরবর্তীতে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাপা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর কিছুদিন পরে তিনি এই আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন ততকালীন কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর আলী। তিনি নির্বাচিত হয়ে খুব অল্প সময়ে কুড়িগ্রামের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। তার সময়ে জেলার বিভিন্ন রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন, নদী ভাঙ্গন রোধ, স্কুল কলেজের ভবন নির্মাণ, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে ১৪ বিষয়ে অনার্স কোর্স এবং পরবর্তীতে মাষ্টার্স কোর্স চালুসহ জেলার আধুনিকায়নে ব্যপক পরিবর্তন করে জনগণের প্রশংসা কুড়াঁতে সক্ষম হন।
পরবর্তীতে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো জাপা প্রার্থী প্রয়াত তাজুল ইসলাম চৌধুরী এম পি নির্বাচিত হন। এবং সেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তার কোন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ লক্ষ্য করেনি কুড়িগ্রামবাসী। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দলীয় মহাজোটের শরিক দল হিসেবে পুনরায় জাতীয় পার্টিকে ছেঁড়ে দেয়া হয় কুড়িগ্রামের এই সদর আসনটি। যার ফলশ্রুতিতে সাবেক কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং কুড়িগ্রামের বিশিষ্ট শিল্পপতি জনাব আলহাজ্ব পনির উদ্দিন আহমেদ লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এদিকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এককভাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য ইতিমধ্যে মাঠে প্রচারণা শুরু করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের তিনজন নেতা। যার একজন বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সাবেক এম পি জনাব
আলহাজ্ব জাফর আলী:
কুড়িগ্রাম জেলার রাজনীতিতে আলহাজ্ব জাফর আলী একজন পরিচিত ব্যক্তি। তিনি দীর্ঘদিন কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদে থেকে দলকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে গেছেন বলে জেলার রাজনৈতিক সচেতন মহল মনে করেন। আলহাজ্ব জাফর আলী ছাত্রাবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। তার বর্ণ্যাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে অনেক জেল জুলুম অত্যাচার সহ্য করে আজকের অবস্থানে এসেছেন। তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর কুড়িগ্রাম সদরের কাঠালবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৮ সালে উপনির্বাচনে কুড়িগ্রাম সদর আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। পরবর্তীতে কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক নির্বাচিত হন। এরই মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শারীরিক কিছু সমস্যা থাকায় মাঝখানে তিনি ঢাকায় চিকিৎসারত থাকলেও, বর্তমানে তিনি নৌকার মনোনয়ন পেতে জেলার নেতৃবৃন্দসহ প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অভিভাবক, এবং সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রাম জেলার উন্নয়নে এবারে নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি বিপুল ভোটে জয় লাভ এই আসনটি জননেত্রী শেখ হাসিনা কে উপহার দিতে পারব বলে বিশ্বাস করি। তিনি বিগত দিনে তার সময়ে নেয়া বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি এবং রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার আলোকে আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিবেন বলে তিনি জানান।
অপরদিকে জেলার আরেক শীর্ষ নেতা বর্তমান কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা চেয়ারম্যান
আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু:
ইতিমধ্যে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ এবং প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন দীর্ঘদিন বিরোধী দলের এম পি নির্বাচিত হওয়ায় কুড়িগ্রামবাসীর ভাগ্য পরিবর্তনে সেরকম কোন উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেনি। এখন পর্যন্ত জেলার যেসব উন্নয়ন হয়েছে তা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব উদ্যোগে বাস্তবায়ন হয়েছে। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যগণ জেলার উন্নয়নে সংসদে যেমন দাবি দাওয়া উপস্থাপন করতে পারেনি, অপরদিকে সরকারি দলের এম পি না হওয়ায় জেলার বাজেট বরাদ্দ যথেষ্ট পরিমানে আনতে সক্ষম হননি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক আমাকে মনোনয়ন দেয়া হলে আমি কুড়িগ্রাম সদর আসনে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে জয় লাভ করতে সক্ষম হব। এবং আমি নির্বাচিত হলে জেলার সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারব বলে বিশ্বাস করি। তিনি এ ব্যাপারে দলীয় নীতিনির্ধারণী ফোরামের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জনাব আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু ছাত্র রাজনীতি দিয়ে জেলার রাজনীতিতে অংশগ্রহন করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, জেলা যুবলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সর্বশেষ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। জেলার রাজনীতিতে ত্যাগি আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু এরই মধ্যে কুড়িগ্রাম সদরের কাঠালবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং বর্তমানে তিনি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নৌকার মনোনয়ন নিয়ে জয়লাভ করার প্রত্যাশায় দিন রাত জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রচার প্রচারণা ও জনসংযোগ এবং আলোচনা সভায় অংশ গ্রহন করছেন।
অপর একজন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি নেতা
জনাব এস এম আব্রাহাম লিংকন :
৯০ এর ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম ছাত্রনেতা রাকসু’র সাবেক এজিএস। জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, কুড়িগ্রাম আইন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, কুড়িগ্রাম জেলার পিপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি যিনি ছিটমহল আন্দোলন ও ফেলানী মামলায় তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করা একুশে পদকপ্রাপ্ত রাজনীতিক অ্যাডভোকেট এস এম আব্রাহাম লিংকন নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশি। তিনি ইতিমধ্যে মাঠে ময়দানে বিভিন্ন সভা সমাবেশ, কুশল বিনিময় এবং স্থানীয় জনগণের দ্বারে দ্বারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উন্নয়ন বার্তা এবং আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় শেখ হাসিনার সরকার নির্বাচিত করার অনুরোধ জানাচ্ছেন।
এদিকে দীর্ঘদিন যাবত কুড়িগ্রাম জেলার মাঠে ঘাটে প্রচারণা চালানো আরেকজন নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশি
ইঞ্জিনিয়ার আবু সুফিয়ান:
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুড়িগ্রাম জেলার তিনটি উপজেলা যথা কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট এবং ফুলবাড়ির পথে প্রান্তরে তৃণমূল জনগনকে নিয়ে কর্মীসভা করছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি ইঞ্জিনিয়ার আবু সুফিয়ান।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টানা ৩য় বার ক্ষমতায় থেকে যে অভাবনীয় সাফল্য এবং উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে এবং আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে পুনরায় আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করতে এবং দলীয় সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পক্ষে উন্নয়ন বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি কুড়িগ্রাম জেলার উন্নয়নে তার চিন্তাভাবনা এবং প্রনীত ছয় দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা প্রদান করেছেন ইঞ্জিনিয়ার আবু সুফিয়ান। কুড়িগ্রাম সদর আসনের তিনটি উপজেলা কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট এবং ফুলবাড়ির ১৯৮ টি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এবং উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আগামী নির্বাচনে ইঞ্জিনিয়ার আবু সুফিয়ান সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করার ব্যাপারে নিজ নিজ স্থান থেকে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং নৌকা মার্কার মনোনয়ন পেতে দীর্ঘদিন মাঠে কাজ করেছেন কুড়িগ্রাম জেলার কৃতি সন্তান ইঞ্জিনিয়ার আবু সুফিয়ান। কুড়িগ্রাম সদর আসনটির তৃণমূল পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় দীর্ঘদিন মাঠে থাকায় আগের চেয়ে অনেক বেশি জনপ্রিয়তা বেড়েছে তার।
কুড়িগ্রাম সদর আসনে নৌকা মার্কার মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন কুড়িগ্রাম জেলার কৃতি সন্তান জনাব ইঞ্জিনিয়ার আবু সুফিয়ান। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি প্রকৌশলী হিসেবে সরকারি চাকুরী করলেও পরবর্তীতে অবসর নিয়ে তার নিজ এলাকায় অসহায় মানুষ এবং জনগণের পাশে বিভিন্ন সময় নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। এছাড়াও তিনি কবি, এবং চলিচিত্র পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। বিগত সময়ে তিনি গরীব এবং অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য বস্ত্র বিতরন, অসহায় পরিবারের বিপদে পাশে দাঁড়ানো সহ বিগত করোনাকালীন সময়ে চিকিৎসা এবং খাদ্য বস্ত্রের ব্যবস্থা করে সাধারণ জনগণের মাঝে নিজেকে জনপ্রিয় নেতা হিসেবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। জনাব ইঞ্জিনিয়ার আবু সূফিয়ানের কাছে তার রাজনৈতিক ইতিহাস এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান,
১৯৭৮ ইং হইতে ১৯৮৮ ইং পর্যন্ত
ততকালীন খলিল গন্জ হাইস্কুল, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ, রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৯০ সাল থেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র লীগ এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি ঢাকা মহানগরের ততকালীন ৯৪ নং ওয়ার্ড যা বর্তমান ৯৯ নং ওয়ার্ড এর সদস্য, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক, এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদক,
পদে ছিলেন। ২০১৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ এর ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি
মরহুম মন্জু মন্ডল এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাফর আলীর কমিটিতে তিনি
বণ ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পদে ছিলেন। । তিনি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আদায়ের লক্ষ্যে বি এন পি, এর বিরুদ্ধ সক্রিয় আন্দোলনে
গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। এছাড়াও তিনি কুড়িগ্রাম জেলার দারিদ্র্য বিমোচন, নদী ভাঙ্গন রোধ সহ এই জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়েনে তার প্রণীত ৬ দফা দাবি ২০১৪ সাল হতে বর্তমানে চলমান রয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মানিত সভাপতি এবং সারা বাংলাদেশের মানুষের জনপ্রিয় নেত্রী গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি তাকে মনোনয়ন দিয়ে সংসদে যাওয়ার সু্যোগ করে দেন, তাহলে আমি আমার জন্মস্থান কুড়িগ্রাম বাসীর উন্নয়নে এবং পিছিয়ে পড়া এই প্রান্তিক জনগনের সমস্ত দাবী দাওয়া বাস্তবায়ন সহ এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে, তাদের যেকোনো প্রয়োজনে সবসময় পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব । তিনি আরও বলেন যেহেতু কুড়িগ্রাম জেলা নদী বেষ্টিত একটি জেলা, এবং এখানে অনেক চর রয়েছে। আমি এই চরাঞ্চল গুলোতে সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং শহরাঞ্চলের সাথে তাদের যোগাযোগ সমন্বয় সহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা নির্মাণের ব্যবস্থা করব।
তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী তার বিষয়ে তৃনমুলে অনুসন্ধান করলে তিনি নিশ্চয়ই অবগত হবেন আমি কতদিন যাবত মানুষের সাথে কাজ করে যাচ্ছি। জনাব আবু সূফিয়ান আরও বলেন আমি যখন যে প্রান্তে ছুটে গিয়েছি সেখানকার জনগন আমাকে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন । আমি সাধারণ মানুষের ভালোবাসা নিয়েই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিপুল ভোটে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করে এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখতে পারব বলে বিশ্বাস করি। তিনি আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট নৌকা মার্কার মনোনয়নের জন্য তার দীর্ঘদিনের ইচ্ছা এবং কর্মের মূল্যায়ন প্রত্যাশা করেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৬, কুড়িগ্রাম ২ আসনে আওয়ামী লীগের এম,পি পদে মনোনয়নের জন্য দীর্ঘদিন যাবত কুড়িগ্রামের বিভিন্ন গ্রাম,ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সংগে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বিগত ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম সদর আসনে মনোনয়ন না পেয়ে এবং
আওয়ামী লীগ এর কোন প্রার্থীনা থাকায় , সিংহ মার্কা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশি যুবলীগ নেতা- রুহুল আমীন দুলাল:
সম্প্রতি, কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের ২৬, কুড়িগ্রাম-২ আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী আলহাজ্ব এডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল এলাকায় গণ-সংযোগ চালাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের পরীক্ষিত সৈনিক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে নৌকা মার্কার পক্ষে তিনি জনমত গঠনে কাজ করে যাচ্ছেন। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হিংগনরায় বাসষ্ট্যান্ড পাড়া এলাকার মরহুম সোলায়মান মিঞার পুত্র আলহাজ্ব এডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল। কুড়িগ্রামে তিনি ছাত্র জীবনে শৈশব কাটিয়েছেন এবং রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীন ১৯৮৪সালে এসএসসি, ১৯৮৬সালে এইচএসসি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৯১সালে ডিগ্রি পাশ করেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৯৩সালে এম.এ এবং ২০০৭সালে এলএল.বি পাশ করেন। একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান যিনি ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামী
লীগের রাজনীতির সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত আলহাজ্ব এডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল নিজের কর্ম-দক্ষতা কাজের মাধ্যমে সবার কাছে প্রমাণ করেছেন তিনি কুড়িগ্রামের একমাত্র আওয়ামী লীগের বর্তমান ও ভবিষ্যতের কান্ডারী।
এই বিভাগের আরও সংবাদ