ছোটন সরদার, রাজশাহী : ওষুধসহ নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার দাবীতে রাজশাহীতে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) রাজশাহীর আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ক্যাব রাজশাহীর উপদেষ্টা মোস্তাফিজুর রহমান খান আলম। ক্যাব রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ক্যাব রাজশাহীর উপদেষ্টা ও দৈনিক সোনালী সংবাদ এর সম্পাদক লিয়াকত আলী, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, রাজশাহী প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমান ও নাগরিক ভাবনা কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান।বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন সেভদি নেচার এন্ড লাইফ এর সভাপতি মিজানুর রহমান, দিনের আলো হিজড়া সংঘের সভাপতি মোহনা। উপস্থিত ছিলেন জয়িতা রহিমা বেগম, নারী নেত্রী রুমানা হোসেন ও অধ্যাপক আম্মান আলীসহ ক্যাব এর অন্যান্য সদস্য এবং শুধিজন উপস্থিত ছিলেন।বক্তারা উল্লেখ করেন, প্রতিদিন ওষুধসহ নিত্যপণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে সাধারণ মানুষের নাভিশ উঠে গেছে। তারা বলেন, বাংলাদেশে ৯০ভাগের উপরে মানুষ মুসলিম। এই মসুলিম দেশে রোজার মধ্যে নিত্যপণ্যের মূল্য সব থেকে বেশী বৃদ্ধি পায়। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা বাহারী দোকানের নাম দিয়ে অসাধুতার আশ্রয় নিচ্ছে। এ সকল ব্যবসায়ীদের চিন্থিত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।তারা আরো বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাজার অস্থির করে তুলছে। চাল, চিনি, তেল, পেঁয়াজ, আলু, মসলা, আটা-ময়দা, বোতলজাত পানি, ডিম ও মাংশসহ কোন ব্যবসাই এখন আর সিন্ডিকেটের বাহিরে নেই। একেক সময় একেক সিন্ডিকেট করে কোটি কোটি টাকা লুণ্ঠন করছে তারা। তারা আরো বলেন, প্রতিদিন ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেইসাথে চিকিৎসার নামে চলছে প্রতারণা। সঠিক চিকিৎসা চাইতে গেলে ডাক্তারদের নির্যাতনের স্বীকার হতে হচ্ছে। সেইসাথে অযাচিত পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা হচ্ছে। সেগুলোও বেশীরভাগ সঠিক হচ্ছে না। দেশে চিকিৎসার নামে অরাজকতার জন্য বাংলাদেশের বেশীর ভাগ মানুষ পার্শবর্তী দেশ ভারতে চিকিৎসার জন্য চাচ্ছে। এতে করে দেশের টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তারা।বক্তারা আরো উল্লেখ করেন, ভারতে একটি স্বতন্ত্র ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয় রয়েছে। একইভাবে বাংলাদেশেও ভোক্তাদের কথা বিবেচনা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি পৃথক বিভাগ অথবা একটি স্বতন্ত্র ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবী জানান তারা। সেইসাথে দেশের ১৮ কোটি ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য এই দাবী মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।