আজ ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

পাটুরিয়া-আরিচা ফেরিঘাট ও মহাসড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপ নেই

স্টাফ রিপোর্টার : আসন্য ঈদুল ফেতর উপলক্ষে ইতিমধ্যে ঈদ যাত্রা শুরু হয়েছে। তবে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের অংশে এখনো যাত্রী ও যানবাহনের তেমন চাপ নেই। মহাসড়কে দুরপাল্লার পরিবহন বাসসহ আঞ্চলিক বাসগুলো স্বস্তিতেই চলাচল করছে।
শনিবার (৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, জাগীর পুলিশ ক্যাম্প, গোলড়াসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ঘুরে দেখা গেছে, ঈদে মহাসড়কের পাটুরিয়া ও আরিচা ফেরিঘাটমুখী যানবাহনের তেমন চাপ দেখা যায়নাই।
তবে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার সদর উপজেলা পরিষদের সমানে সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কারের কাজ এখনও চলামন থাকায় যানজটের শঙ্কা রয়েছে। ফলে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কিছুটা ভোগান্তি হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথেও যাত্রী ও যানবাহনে বাড়তি কোন চাপ নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ঘাট কর্তৃপক্ষ।
গোলড়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সুখেন্দু বসু বলেন, ঈদে মানুষজন গ্রামের বাড়িতে যেতে শুরু করছে। তবে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের অংশের যানবাহনের কোন চাপ নেই। ঈদের দু-একদিন আগে সাভার, আশুলিয়া, নবীনগরসহ ওই অঞ্চলের পোশাক কারখানা ছুটি হলে যানবাহনের চাপ কিছুটা বাড়বে। তবে মহাসড়কে যানজটমুক্ত রাখতে জেলা পুলিশের পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশও কাজ করবে। আশা করছি, এবারের ঈদযাত্রায় ঘরমুখী যাত্রীদের সড়ক পথে তেমন ভোগান্তি হবে না বলে তিনি জানান।
জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) কে এম মেরাজ উদ্দিন বলেন, ঈদযাত্রায় ঘরমুখী যাত্রী ও যানবাহনগুলোকে নিরাপদ যাতায়াতের ক্ষেত্রে জেলা পুলিশ সুপার আমাদের দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী ট্রাফিক পুলিশ কাজ করে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সদর উপজেলা পরিষদের সামনে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কাজ যদি দ্রুত শেষ হয়, তাহেল ওই স্থানেও যানজটমুক্ত রাখতে আমরা কাজ করবো। আর মহাসড়কে যান চালাচল স্বাভাবিক থাকলে কোনো ভোগান্তি হবে যাত্রী ও বাস চালকদের।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশেন (বিআইডব্লিটিসি) আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ বলেন, গতকাল শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের সংখ্যা বাড়লেও নৌবহরে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় ভোগান্তি ছাড়াই পারাপার হয়েছে। আজকে সকালের দিকে কিছু যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়ি ছিল, তবে ঘাটে আসা মাত্রই ফেরিতে ওঠে নদী পার হয়েছে। আজকে ১৩ টি ছোট বড় ফেরির মধ্যে ১১ টি ফেরি নৌপথে চলাচল করছে। ঈদযাত্রায় যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে আরো দুটি ফেরি আমাদের বহরে এসে যোগ দেবে। আশা করছি, ভোগান্তি ছাড়াই এবার ঘরমুখী মানুষ ও যানগুলো নৌপথ পারাপার হতে পারবে এবং গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মানুষ প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে পারবে।

Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও সংবাদ