আজ ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ ইং

মানিকগঞ্জে রাতের আধাঁরে পদ্মা নদীর বালু চুরি

স্টাফ রিপোর্টার : মানিকগঞ্জে পাটুরিয়া পদ্মা নদীর তীর হতে রাতের আধাঁরে চুরি করে বালু বিক্রীর অভিযোগ উঠেছে মেসার্স কে.টি আর এন্টারপ্রাইজের মালিক মো: তৌহিদুর রহমান খান হিমেলের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পাটুরিয়া ১নং ফেরী ঘাটের পশ্চিম পাশে ধূতরা মৌজায় হতে অবৈধ ভাবে চুরি করে রাতের আধাঁরে ভেকু দিয়ে পদ্মা নদীর তীরে জমে থাকা বালু দশ চাকার ড্রাম ট্রাকে বিক্রী করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের ফলে সরকারের ক্ষতি করছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। একদিকে নষ্ট করছে সড়ক ও জনপথের কোটি টাকার রাস্তা অন্যদিকে নদী থেকে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার বালু। যার ফলে সরকার হারাচ্ছে রাজেস্ব ক্ষতি হচ্ছে সরকারি রাস্তা। গাড়িতে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে অতিরিক্ত বালু বোঝাই করে পরিবহন করার ফলে রাস্তা-ঘাট, দোকানপাট,অফিস আদালত ধুলাবালুতে পরিবেশ নষ্ট করে ফেলছে এই ঠিকাদারের লোকজন।বালু খেকোদের চুরি করা বালুর ভোগান্তির প্রহর গুনছে পথচারী,গাড়ির যাত্রী, অফিস ও রাস্তার পাশে থাকা দোকান মালিকেরা। রাতের আঁধারে বালু উত্তোলন ও অনিয়তান্ত্রিকভাবে বালু পরিবহনের কারণে ধীরে ধীরে রাস্তাগুলো ধুলার আবরন সৃষ্টি হয়ে পড়ছে, এবং সেই ধুলা বাতাসে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে, বিভিন্ন খাবার হোটেল, মুদি দোকানপাটে ও পথচারীদের নাকে-মুখে ঢুকে পড়ে। এত ধুলার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। পথচারী, যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে শিশু ও প্রবীনদের। ধুলার সঙ্গে নানারকম ক্ষতিকর জীবাণু শরীরে প্রবেশ করছে। নোংরা, দূষিত ধুলা শরীরে এসে পড়ায় চর্মরোগের প্রকোপও বাড়ছে। চোখের নানা সমস্যাতেও ভুগছে অনেকে। এই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কথা টু শব্দ করতে সাহস পান না কেউ। রহস্যজনক কারনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নিচ্ছে না তাৎখনিক ব্যবস্থা।
তৌহিদুর রহমান হিমেলের ভেকুর কর্মচারী রুবেলের সাথে কথা বললে, তিনি বলেন আমরা রহিম খানের বালি নিতেছি। এই ঠিকাদারের ইজারার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ,তার ইজারা ছিল আরিচা ঘাটে, এখান থেকে আপনারা কিভাবে বালু নেন। একথা জানতে চাওয়ায় তিনি কোন উত্তর না দিয়ে চলে যান।
প্রতিবেদক গতকাল রাত ৯.৩০ মিনিটে বালু চুরি করে নেওয়ার সময় ঘটনাস্থলে দাড়িয়ে পাটুরিয়া নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আনোয়ার হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি প্রতিবেদককে বলেন আপনি অফিসে আসেন আমি ফোর্স পাঠিয়েছি এবং আইনগত ব্যবস্থা নিব। আজ রবিবার ৩ টার সময় তাকে ফোন করলে তিনি বলেন নদীতে বালু চুরি করার স্থানে কোন লোকজন , ট্রাক ও ভেকু পাইনি। তবে আমরা খোঁজ রাখছি কারা এ কাজে জড়িত। আমরা আইন শৃঙ্খলার মিটিং-এ আলোচনা করেছি, নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করা যাবে না। যদি কেউ বালু উত্তোলন করে তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা প্রয়োগ করবো।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: বেলাল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বালু চুরি করে নেওয়ার বিষয় জানতে পেরে প্রতিদেককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে আমরা আইনগত ব্যাবস্থা নিব।

Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও সংবাদ