নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্ত সমাজ গঠন ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। আমাদের সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় তথ্য কমিশন বাংলাদেশ তথ্য অধিকার আইনের সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়নের ঘোষণা করেছিল। নির্বাচিত হয়ে আমরা সরকার গঠন করে ২০০৯ সালের ২৯ মার্চ নবম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে ‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯’ পাস করি। আমাদের সরকার ২০০৯ সালের ১ জুলাই তথ্য কমিশন গঠন করে। কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তথ্য কমিশনের নিজস্ব জনবল নিয়োগ করা হয়। এরইমধ্যে ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট নবনির্মিত তথ্য কমিশন ভবনের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য কমিশনের অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধি পাওয়ায় জনগণ ও গণমাধ্যমের তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে গতিময়তা বেড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার তথ্যের অবাধ প্রবাহের জন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সামগ্রিক বিস্তৃতি যেমন বাড়িয়েছে, তেমনি ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধি করে তথ্যকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বিশ্বের বৃহত্তম ওয়েবপোর্টাল চালু করেছে। আমরা বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি ওয়ার্ল্ড এবং সংসদ টেলিভিশনের পাশাপাশি ৪৫টি বেসরকারি চ্যানেল, ২৮টি এফএম বেতার এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও’র অনুমতি দিয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ সুবিধা পাওয়ার মাধ্যমে জনগণের তথ্য প্রাপ্তি সহজতর হচ্ছে এবং ঘরে বসেই তারা তথ্য পাচ্ছে। তথ্য অধিকার আইন সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের মাধ্যমে দুর্নীতি হ্রাস এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখছে। কমিশন ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রত্যেক কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ওয়েবসাইটে সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশের জন্য প্রবিধানমালা প্রণয়ন করে জনগণের তথ্য প্রাপ্তি সহজ করেছে।
তিনি বলেন, ‘তথ্য অধিকার আইনের ব্যবহার বৃদ্ধিতে আজ ইন্টারনেটের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে তথ্য কমিশন আরো সক্ষম হবে- এ প্রত্যাশা করছি।’