আজ ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই অক্টোবর, ২০২৪ ইং

প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার তথাকথিত প্রযোজক মোস্তাক বিল্লাহ

দীর্ঘদিন যাবৎ নাটক পাড়ায় প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রযোজকদের কাছ থেকে তথাকথিত প্রযোজক মোস্তাক বিল্লাহ হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় কোটি টাকা। ৮ টি মামলার ওয়ারেন্ট আছে তার নামে এছাড়া ও জামিনে আছেন আরো বেশ কিছু চেক জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলায়। বেশকিছু দিন যাবৎ তার দেশের বাড়ি বাগেরহাট সদর থানা পুলিশ এবং ঢাকার বিভিন্ন থানার পুলিশ তাকে খুঁজছে। আজ রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বংশাল থানার এসআই সুব্রত তাকে আগামাসি লেনের একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অন্যের টাকায় নিজে প্রযোজক সেজে নাটক নির্মাণ করতেন তিনি এবং মেঘনা ইলেকট্রনিকস নামে একটি ইলেকট্রনিকস ব্রান্ডের নাম ব্যবহার করতেন। যার কোন অস্তিত্ব নেই বাজারে। সেই নামের উপরই বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে তার বিজ্ঞাপনও চালাতেন। এই কোম্পানি দেখিয়ে বিভিন্ন প্রতারণা করেন। এছাড়াও বিভিন্ন মেয়েদের এসব ফাঁদে ফেলতেন।

আরও জানা যায়, তার কোন ইলেকট্রনিকস কোম্পানি নেই। নেই কোন শোরুম বা গোডাউন, নেই কোন ইমপোর্ট লাইসেন্স, নেই কোন অফিস এমন কি কোন ট্রেড লাইসেন্সও নেই। মার্কেটে তার কোন প্রডাক্ট নাই অথচ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে চলছে তার প্রডাক্টের বিজ্ঞাপন।

তার প্রতারণার স্বীকার মামলার বাদীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় তিন চার বছর যাবৎ তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা নিয়ে চেক দিয়ে তারপর সে পালিয়ে যায়। কারো কাছ থেকে লোন, কারো কাছ থেকে নাটক নির্মাণ করবে বলে, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে টাকা নিতো তারপর আর তাকে পাওয়া যেতনা।

আরেক জনের তথ্যমতে, বিভিন্ন স্যুটিং হাউজ, লাইট ক্যামেরা হাউজ, অভিনয় শিল্পীদের ও অনেক টাকা মেরে দিয়েছে এই তথাকথিত প্রযোজক মোস্তাক বিল্লাহ।

এ বিষয়ে এসআই সুব্রত বলেন, তার বিরুদ্ধে দুই হালি মামলা রয়েছে। সে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। সে বড় মাপের প্রতারক। তাকে পুলিশ খুঁজতে ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বংশালের আগামাসি লেনের একটি বাড়ি থেকে ফোর্স নিয়ে তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও সংবাদ